বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি:
যশোরে প্রথম ধাপে ৯৬ হাজার মানুষ কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন (টিকা) পৌঁছেছে। রোববার ভোরে সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে ভ্যাকসিনগুলো বুঝে নেয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ জানিয়েছেন, জেলার মোট ১৩৫ টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। তবে প্রথমে ৩৪ টি কেন্দ্র কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন ৬ জন করে স্বাস্থ্য কর্মী। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। চলবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ডা, রেহেনেওয়াজ জানান, রোববার ভোরে ব্রেক্সিমকো কোম্পানির ফ্রিজারভ্যানযোগে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনগুলো সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌছায়। সেগুলো বুঝে নেয়ার পর সংরক্ষণাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রথম ধাপে গণমাধ্যম কর্মী, জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্যবিভাগ, জেলা পরিষদ, জেলা পুলিশ, বিজিবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ভিডিপ আনসার সদস্যসহ ১৫ শ্রেণিপেশার মানুষ অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা পাবে। তিনি আরো জানান, যশোর জেলায় ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য মোট ১৩৫ টি কেন্দ্র থাকবে। টিকা প্রয়োগের প্রথম দিন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৮ টি, যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ৪টি, পুলিশ হাসপাতালে ১ টি ছাড়াও শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টি, ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টি, চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টি, মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টি, কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টি, বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টি ও অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টি কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চলবে। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পর্যায়ে আরো ১০১ টি কেন্দ্র চালু করা হবে। এছাড়া যশোর সিভিল সার্জন অফিসে ২ টি , মেডিকেল কলেজে ২ টি টিম রিজার্ভ রাখা হবে। এ জন্য মোট ৮৩৪ জন স্বাস্থ্য কর্মীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হবে। প্রশিক্ষণ টিমে রয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. প্রতিভা ঘরাই, ইপিআই কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. তাসমিম মির্জা ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনগুলো বুঝে নেয়ার পর উপযুক্ত তাপমাত্রায় সংরক্ষণের জন্য যশোর ইপিআই স্টোরে রাখা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাওয়ার পর তা নির্ধারিত কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সিভিল সার্জন আরো জানান, কবে থেকে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে সে বিষয়ে কোন নির্দেশনা এখনো পাননি। তবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি কার্যক্রম শুরু হতে পারে। প্রথম ধাপে জেলায় ৯৬ হাজার মানুষের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
উল্লেখ্য,গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত যশোর জেলায় ২৫ হাজার ৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ হাজার ৫শ’ ৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।