ইউরোপে যে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসটি পাওয়া গেছে সেটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপের বাইরের দেশগুলোতেও এই নতুন ধরনের ভাইরাসটি পাওয়া গিয়েছে। ফ্রান্স, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডে যাদের শরীরের এই নতুন ধরনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তারা সবাই সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেছেন।
কানাডার অন্টারিওতে এক দম্পতির শরীরে এই নতুন ধরনের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, তবে তারা কীভাবে এই নতুন ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তা জানা যায়নি। আবার তাদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কোন দেশের ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসার ইতিহাসও পাওয়া যায়নি।
জাপানে অনাবাসিক নাগরিকদের আগামী একমাসের জন্য দেশে আসা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। সোমবার (২৮ নভেম্বর) থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পরপরই দেশটির সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বিভিন্ন দেশ। ফ্রান্সও তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিলো। তারপরও শেষ রক্ষা হলো না দেশটির।
ফ্রান্সেও অস্তিত্ব মিলেছে নতুন ধরনের করোনার। দেশটির টুরস শহরে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছে। ওই ফরাসি নাগরিক গত ১৯ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন। ফরাসি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির কোনও উপসর্গ নেই।
এ অবস্থায় ইউরোপের সব দেশই রয়েছে শঙ্কার মধ্যে। কারণ শুধু ফ্রান্স নয়, নতুন ধরনের করোনা পাওয়া গেছে স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ডসহ আরও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে।
ইউরোপে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হানস ক্লুগ জানিয়েছেন নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনা, কোভিড-১৯ এর চেয়ে দ্রুত ছড়ায় এবং কম বয়সীদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা ও ভিড় এড়িয়ে চলাসহ সব বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান।
নতুন ধরনের করোনা আরও দ্রুত গতিতে ছড়ায় জানার পর শঙ্কা বেড়ে গেছে বিশ্ববাসীর। বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর মধ্যেই সংক্রমণ আট কোটি ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ লাখের বেশি।
সূত্র: বিবিসি