1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন

কোভিড সনদ ছাড়াই দেশে ১৫০ যাত্রী, ফ্লাইট অপারেটরের জরিমানা

  • সময় : বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩১৭

কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া লিবিয়া থেকে আসলেন ১৫০ জন যাত্রী। বুরাক এয়ারের বিশেষ ফ্লাইটে তারা দেশে আসেন। নিয়ম লঙ্ঘন করে নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী নিয়ে আসায় বিশেষ ফ্লাইটটি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত অপারেটরকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল। লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এ বিশেষ ফ্লাইটটি পরিচালিত হয়েছিল।  মঙ্গলবার বিকেলে লিবিয়া থেকে ১৫৩ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করে বুরাক এয়ারের বিশেষ ফ্লাইট। এ ফ্লাইটটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের দেয়া শর্তে উল্লেখ করা ছিল সব যাত্রীকে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির পরিপত্র মোতাবেক কোভিড-১৯ টেস্ট নেগেটিভ সনদ আনতে হবে৷ কিন্তু ঢাকায় অবতরণের পর হেলথ ডেস্ক এর কর্মীরা মাত্র তিনজন যাত্রীর সাথে কোভিড সনদ পান। নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়।

অবশিষ্ট ১৫০ জন যাত্রীর সাথে কোভিড পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন প্রকার সনদ ছিল না ৷ তাই তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। আর ১৫০ জন যাত্রীর ভোগান্তি সৃষ্টির জন্য বুরাক এয়ারের বিশেষ ফ্লাইটটি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল সময় সংবাদকে জানান, তারা জরিমানা মওকুফের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু ছাড় পাওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র দেখাতে পারেনি। হয়ত তারা ধরে নিয়েছিল, কোভিড সংক্রান্ত নিয়ম নীতি মানার ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে যে কড়াকড়ি আছে বাংলাদেশে তা নেই ৷ আইন না মানলেও শাস্তি হবে না। 

আহমেদ জামিল আরও জানান, ফ্লাইট অপারেটর দাবি করেছিলেন যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়াতে আরটি-পিসিআর টেস্ট করার মত সুবিধা নেই। এক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর টেস্টের পরিবর্তে এন্টিজেন টেস্ট রিপোর্ট গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে ৷ কিন্তু ঐ ফ্লাইটেরই তিনজন যাত্রী পিসিআর সনদ দেখিয়েছেন। এক্ষেত্রে বাকি ১৫০ জন যাত্রী কেন কোভিড-১৯ সনদ আনতে পারলেন না সে উত্তর দিতে পারেনি তারা। 

কোভিড-১৯ সনদ সংক্রান্ত নিয়ম না মানায় এ পর্যন্ত ১৫ টি এয়ারলাইন্সকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে ৷ যারা অব্যাহতি পেয়েছে তাদেরকেও সদর দপ্তরে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র দিয়ে জরিমানা এড়াতে হয়েছে ৷

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪