চট্টগ্রামে নতুন ৯৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। করোনাক্রান্তদের কেউ মারা যাননি এ সময়ে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নগরীর ৬টি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গত শুক্রবার চট্টগ্রামের ৮৬৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ৯৪ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৬ জন এবং ৯ উপজেলার ১৮ জন।
উপজেলা পর্যায়ে ফটিকছড়িতে সর্বোচ্চ ৫ জনের শরীরে ভাইরাস পাওয়া যায়।
এছাড়া, আনোয়ারার ৩ জন, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও হাটহাজারীতে ২ জন করে এবং মিরসরাই, সীতাকুন্ড লোহাগাড়া ও চন্দনাইশের ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ২১ হাজার ৭৩৪ জন। এর মধ্যে শহরের ১৫ হাজার ৯৯২ জন ও গ্রামের ৫ হাজার ৭৪২ জন।
পরীক্ষার এ সময়ে করোনাক্রান্ত কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি। এটি চট্টগ্রামে মৃত্যুহীন টানা তৃতীয় দিন। মৃতের সংখ্যা ৩০৬ জনই রয়েছেন। যাতে শহরের ২১২ জন ও গ্রামের ৯৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন আরো ৩০ জন। ফলে এ সংখ্যা বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮৬ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১১ জন এবং হোম আইসোলেশনে সুস্থতার পর ছাড়পত্র পান ১৩ হাজার ৪৭৫ জন।
হোম কোয়ারেন্টাইনে গতকাল যুক্ত হন ২০ জন, ছাড়পত্র পান ৫৫ জন। বর্তমানে ১ হাজার ৬৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে। এখানে ৩৭৩ জনের নমুনায় ৪৮ জনের পজেটিভ রেজাল্ট আসে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জন ছাড়া সবগুলোর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৮০ টি নমুনার মধ্যে ১১ টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জন ভাইরাসবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন।
নগরীর বেসরকারি ৩টি ল্যাবের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৯ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ২২ জন ও ৪ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তবে, এদিন শেভরন ও জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে কারো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
এ সময়ে চট্টগ্রামের ১২ জনের নমুনা পাঠানো হয় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে। পরীক্ষায় সবক’টিই নেগেটিভ হয়।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, শুক্রবারেই সংক্রমণের হার ছিল সর্বোচ্চ (১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ)।
অথচ আগের দিনের হার ছিল ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গত মঙ্গলবার সংক্রমণ হার আরেকবার ১০ শতাংশের ওপরে ওঠেছিল (১০ দশমিক ৪৮)। গতমাসের শেষদিনের সংক্রমণের হার ও সংখ্যা ছিল সাম্প্রতিক সময়ের সর্বনিম্ন। এদিন ৩২ জন শনাক্ত হন, সংক্রমণ হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।