এখনও ফলাফল না আসা পেনসিলভানিয়া বা বাকি চারটি রাজ্যের যে কোনো দু’টিতে জয় পেলে জো বাইডেন হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। আর আবারও হোয়াইট হাউজে থাকতে চাইলে ট্রাম্পের পেনসিলভানিয়াসহ বাকি চারটি রাজ্যের তিনটিতে জয় দরকার। এর মধ্যে নেভাদা ও অ্যারিজোনায় এগিয়ে বাইডেন। জর্জিয়া ও পেনসিলভেনিয়াতেও ব্যবধান কমিয়ে আনছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টোরাল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। বাইডেন পেয়েছেন ২৬৪ ইলেক্টোরাল ভোট আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪ ইলেক্টোরাল ভোট।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য, এখন জর্জিয়া (১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট), নেভাদা (৬টি ইলেক্টোরাল ভোট), অ্যারিজোনা (১১টি ইলেক্টোরাল ভোট) ও পেনসিলভানিয়া (২০টি ইলেক্টোরাল ভোট)- এই চার রাজ্যে ঝুলে আছে দুই প্রার্থীর ভাগ্য। এই তালিকায় রয়েছে নর্থ ক্যারোলাইনাও (১৫টি ইলেক্টোরাল ভোট)।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ রাজ্য ও ডিস্ট্রিক অব কলাম্বিয়া (রাজধানী অঞ্চল) মিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ইলেক্টোরাল ভোট ৫৩৮টি। বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট। এখনও ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টে হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
গণমাধ্যমগুলো বলছে, জর্জিয়ায় ৯৯% ভোট গণনা শেষ হয়েছে। দু’জনের ভোট পাওয়ার হার একই- ৪৯.৪%। তবে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৯০২ ভোটে এগিয়ে ট্রাম্প। অ্যারিজোনায় বাইডেন ৪৬ হাজার ২৫৭ ভোটে এগিয়ে। অ্যারিজোনার ১১ ইলেক্টোরাল ভোট বাইডেনের ঝুলিতেই পড়বে বলে বলা হচ্ছে।
নেভাদায় বাইডেন মাত্র ১১ হাজার ৪৩৮ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এ রাজ্যের ভোট ফলাফলে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে। ঘুরে যেতে পারে ফলাফল।
পেনসিলভানিয়াতেও ব্যবধান কমে এসেছে। ৯০% ভোট গণনা শেষ হয়েছে। ট্রাম্প ৪১ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে। নর্থ ক্যারোলাইনায় ৯৪% ভোট গণনা শেষ। এখানে ৭৬ হাজার ৭০১ ভোটে এগিয়ে ট্রাম্প।