চলতি বছরের শেষেই আমেরিকা করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলবে বলে আগেই দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।তাঁর সেই দাবিকে বাস্তবায়িত করতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল মার্কিন বায়োটেক সংস্থা মডার্না।সংস্থার দাবি, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন মানব শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে অনেকটাই সফল হয়েছে।মডার্না জানিয়েছে,গত মার্চে মোট ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। এঁরা কেউই করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। তাঁদের মধ্যে ৮ জনের শরীরে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।মার্কিন সংস্থা মডার্না ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলার দাবি করার পরপরই চীনের তরফেও বড় ঘোষণা করা হয়েছে। চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নয় বরং তাঁদের ল্যাবে তৈরি নতুন ওষুধই পারবে করোনাকে রুখে দিতে।এই ওষুধ করোনা রোগীকে তাড়াতাড়ি সুস্থই শুধু করবে না, পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদী ক্ষেত্রে শরীরে এই ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতাও তৈরি করে দেবে। করোনা চিকিৎসায় বাংলাদেশও নতুন ওষুধ আবিষ্কার করে ফেলেছে বলে দাবি করেছে। সে দেশের একদল চিকিৎসক জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট দু’টি ওষুধ প্রয়োগে করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে।বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ডাঃ মহম্মদ তারেক আলম দাবি করেছেন, তাঁরা নির্দিষ্ট দু’টি ওষুধ থেকে অ্যান্টিডোট বানিয়েছেন, যা প্রয়োগ করে এখনও পর্যন্ত ৬০ জন আক্রান্তকে সুস্থ করে তোলা হয়েছে।করোনার ওষুধ খোঁজার দৌড়ে পিছিয়ে নেই ভারতও।অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি পর এবার আয়ুর্বেদিক ঔষধি অশ্বগন্ধাতেও মিলল করোনা-নাশক উপাদান। আইআইটি-দিল্লি এবং জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।করোনার জন্য ভ্যাকসিন বা অন্য ওষুধ তৈরির বিষয়টি এখনও গবেষণার স্তরেই রয়েছে। তবে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে।যেমন ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন।আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-প্রীতি সর্বজনবিদিত।সেই প্রেম এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে গত দেড় সপ্তাহ ধরে রোজ একটি করে ট্যাবলেট খাচ্ছেন ট্রাম্প।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন তিনি।প্রেসিডেন্টের বিশ্বাস, এই ওষুধ নিয়মিত খেলে করোনা তাঁর শরীরে থাবা বসাতে পারবে না।যদিও মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এই ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করেছে।এফডিএ বলেছে, এই ওষুধের কিছু মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।ট্রাম্প জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের চিকিৎসকরা তাঁকে ওই ওষুধ খেতে বলেননি।তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে ওষুধ খাচ্ছেন।একসময় ওই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেবেন।তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ নেই বলেই জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক শন কনলে।