রংপুরে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও ৫ টাকা কমে ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে আলু আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতি।
রোববার (২৫ অক্টোবর) সকালে নগরীর পোস্ট অফিস সংলগ্ন কাচারী বাজার পয়েন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ত্রিশ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করে রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে কোল্ড স্টোরেজে থাকা ১শ’ মেট্রিক টন আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা শুরু করা হলো। পর্যায়ক্রমে নগরীর ৪টি পয়েন্টে ট্রাকে করে এ আলু বিক্রি করা হবে। আলু আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির এ উদ্যোগের কারণে জনগণ উপকৃত হবে বলে আশা করছি।
এসময় জেলা প্রশাসক আরও জানান, সরকার টিসিবি’র মাধ্যমে আলু বিক্রি শুরু করেছে।
রংপুরেও অতিদ্রুত এ কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন টিম বাজার মনিটরিং এ কাজ করছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ গোলাম রব্বানী, কৃষি বিপণন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা, আলু আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত বণিক প্রমুখ।
রংপুর জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহায়তায় শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের আওতায় নগরীর কাচারী বাজার, সাতমাথা, পায়রা চত্বর ও শাপলা চত্বর এলাকায় ট্রাকের মাধ্যমে আলু বিক্রি কার্যক্রম চলবে। প্রতিজনকে ৪ কেজি করে আলু দেয়া হবে। এতে বাজারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা কম মূল্যে আলু কিনতে পেরে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে সাধারণ ক্রেতারা।
আলু কিনে বাড়ি ফেরার পথে জুবায়ের হাসান তমাল জানান, সিটি বাজারে গ্রানুলা আলু কেজি প্রতি ৪০ টাকা আর শিল আলু ভালোটা ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। সেই তুলনায় অনেক কমে এখানে ১২০ টাকায় ৪ কেজি আলু কিনতে পেরে ভালো লাগছে। আলু আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে এসব আলু ক্রয় করে তা কেজি প্রতি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৫ টাকা দরে আলুর সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসায়ীরা বাজারে ৩০ টাকায় গ্রাহকদের দিতে পারবেন বলে জানান আলু আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৈয়বুর রহমান।