1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন

রসিকের তত্তাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির ৭ টি অভিযোগ

  • সময় : বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২৪২

রংপুর সিটিকর্পোরেশনের তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির এক লিখিত ৭ টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জনা গেছে, অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে পছন্দের ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানকে কাজ প্রদানের উদ্দেশ্যে এলইডি বাল্বের স্পেসিফিকেশন ও কান্ট্রি অব অরিজিন পরিবর্তনকরণ,একটি প্রকল্প পরিচালক শুধুমাত্র একটি প্রকল্পের পরিচালক থাকবেন মর্মে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একই সঙ্গে ৫ টি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পেও উৎকোচের বিনিময়ে নিজ ইচ্ছে মত সাইট পরিবর্তন। বিনা টেন্ডারে পিপিআর অনুসরণ না করে দুটি এম্বুলেন্স ক্রয় করেন।দ্বিতীয় বিবাহ করে প্রায় ৯ বছর সংসার দুই ছেলে সন্তান থাকার পরও আয়কর নথিতে ভরনপোষণ সহ যাবতীয় ব্যয় প্রদর্শন না করা।ইতিপূর্বে দুদকে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ থাকলেও অদ্যবধি বিচারের সম্মুখীন হয় নাই।

সাবেক মেয়র মৃত সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর সাক্ষর জাল করে দপ্তরের সকল টেন্ডার নথি পরিবর্তন ও প্রয়োজনীয়,সকল কাগজ,নিজের ইচ্ছে মতো স্বাক্ষর জাল করে তৈরি করেন।
অভিযোগে উল্লেখ আছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর ৩৩ টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন রাস্তায় সড়ক বাতি স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পটি ভৌত অবকাঠামো বিভাগ এর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি)সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এলইডি বাতি সহ আনুষাঙ্গিক মালামাল এলজিইডি এর রেট ও স্পেসিফিকেশন অনুসরণ করে

এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী কতৃক ভেটিং করে বাল্বটি ৩৬ ওয়াট ধরে প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।কিন্তু দরপত্র আহ্বানের পূর্বে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও স্বঘোষিত প্রকল্প পরিচালক এমদাদ হোসেন ৫ কোটি টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ প্রদানের লক্ষ্যে এলজিইডির স্পেসিফিশেন সম্পূর্ন পরিবর্তন করে নিজের ইচ্ছে মতো স্পেসিফিকেশন, কান্ট্রি অব অরিজিন,

বাল্বের ক্ষমতা পরিবর্তন করে প্রাক্কলন প্রস্তুত করে সেই মোতাবেক দরপত্র আহ্বান করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন।
দ্বিতীয় অভিযোগে উল্লেখ আছে অনুমোদন ছাড়াই তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন ৫ টি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সে নিজেই প্রকল্প গুলো (১)রংপুর সিটু কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ২১০ কোটি টাকা।

(২)রংপুর সিটির ৩৩ টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তায় সড়ক বাতি স্থাপন ৪৯ কোটি টাকা। (৩)রিহ্যাবিলাইটেশন এন্ড ইমপ্রুভমেন্ট অফ ডিফারেন্ট রোড ইন রংপুর সিটি ২৫ কোটি টাকা। (৪)সিটুকর্পোরেশনের যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয় ১ শত ১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। (৫)সিটির অবকাঠামো উন্নয়ন ও ড্রেন কাম ফুটপাত নির্মান ৬০ কোটি টাকা।


তৃতীয় অভিযোগে জানা য়ায় ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন ও অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি ৩১টি প্যাকেজে বিভক্ত করে অনুমোদন হয়।একনেক কতৃক অনুমোদিত প্রকল্পটি সংশোধন ব্যতিত কোন পরিবর্তন করে দরপত্র আহ্বানের নিয়ম নেই, কিনু স্বঘোষিত প্রকল্প পরিচালক এমদাদ ২ কোটি টাকা উৎকোচ নিয়ে প্যাকেজ স্কীমের নাম এবং অবস্থান পরিবর্তন করে দরপত্র আহ্বান করেন ও পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেন। চতুর্থ অভিযোগে জানা যায় তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন নিজ ক্ষমতা প্রয়োগে বিনা টেন্ডারে পিপিআর অনুসরণ না করে ২ টি এম্বুলেন্স ক্রয় করেন,যার আর্থিক লাভ তুনি নিজে ভোগ করেন।

পঞ্চম অভিযোগে আমরা জানতে পারি এমদাদ হোসেন রংপুর পৌর সভায় নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদানের পর হতেই বিভিন্ন প্রকল্পের নিয়োজিত নারী কর্মচারীকে চাকরির প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন এক পর্যায়ে কয়েকজন অন্ত;সত্তাও হন।কিছু অসাধু প্রিয় ব্যক্তির মাধ্যমে নারীদের গর্ভপাত করান।বর্তমান ২য় স্ত্রী রংপুর পৌরসভার ইউপিপিআর প্রজেক্টে তার অধীনস্থ কর্মচারী ছিলেন।

ষষ্ঠ অভিযোগে জানা গেছে তদন্ত কর্মকর্তা দুদক রংপুর সমস্ত অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও নথিটি ধীরগতিতে চলছে শোনা যাচ্ছে। বিপুল অর্থের বিনিময়ে দুদকে যোগাযোগ করে তদন্ত কর্মকর্তাকে বদলীর চেষ্টা করছেন। দুদককে ১ কোটি টাকা উৎকোচ দিয়েছেন বলে বিভিন্ন স্থানে গল্প করেছেন। উল্লেখ্য এ সংক্রান্ত রিপোর্ট গত২৭ আগষ্ট ২০১৮ দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশীত হয়।সপ্তম অভিযোগে জানা যাচ্ছে প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন নিজের দোষ ঢাকতে গুরুত্বপূর্ণ নথি নিজের দপ্তরে সাবধানতার সাথে পরিবর্তন করে থাকেন।

মৃত মেয়র শরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু পরিবর্তনের পরপরই ৪৭ টি গ্রুপের টেন্ডার নথি ও ১৯ টি গ্রুপের কোটেশন নথি সহ প্রায় ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকার নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে পুনরায় নথি তৈরী করেন।
সকলের জোর দাবী তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।


ইতিমধ্যে এবিষয়ে তথ্য প্রমানাদি সহ অভিযোগ দেয়া হয়েছে মূখ্য সচিব প্রধান মন্ত্রী কার্যালয়,সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ভৌত অবকাঠামো বিভাগ, পরিকল্পনা মন্রনালয়,মহাপুলিশ পরিদর্শক,

বিভাগীয় কমিশনার, দূর্নীতি দমন কমিশন, প্রধানমম্রীর একান্ত সচিব, ডিজি এফ আই,এন,এস,আই,জেলা প্রশাসক,বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক বৃন্দ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪