যশোরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সাথে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মানুষের অসচেতনতা। মঙ্গলবার নতুন করে আরও ৩২ জনের শনাক্তের মধ্য দিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ৩৫৩৬ জন। মোট ৪৯ জন মারা গেছেন।
সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বপ্রাপÍ তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, সোমবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টার থেকে পাঠানো ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাঠানো হয়।
তাতে ৩১ জনের করোনা শনাক্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) ল্যাব থেকে ১০ জনের ফলাফল আসে। সেখানে ১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস রয়েছে। এদিন দুই ল্যাবে মোট ৩২ জন শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ২৫ জন, শার্শা উপজেলায় ১ জন, ঝিকরগাছা উপজেলায় ২ জন, কেশবপুর উপজেলায় ৩ জন ও অভয়নগর উপজেলায় ১ জন। ডা. রেহেনেওয়াজ আরো জানান, এদিন সুস্থ হয়েছেন ৬০ জন। আর ১৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, পজেটিভ শনাক্ত হওয়া মৃত রোগীর নাম আব্দুল মান্নান (৬৪)। তিনি সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর করোনার উপসর্গ নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুল মান্নান। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছিলো।
তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) প্রকাশিত ফলাফলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যবিপ্রবির অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. তানভীর ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার জেনোম সেন্টারে যশোরের ৩১ জন ছাড়াও মাগুরা জেলার ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা ৩ জন এবং নড়াইল জেলার ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের শরীরে কোভিডের জীবাণু পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪১ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৫৯ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, এই পর্যন্ত জেলার ১৪৫৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল এসেছে ১৩৭৭৫ জনের। এরমধ্যে করোনা পজেটিভ ৩৫৩৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ২২৬৪ জন। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। এরমধ্যে যশোরের ৪১ জন ছাড়াও ঢাকায় ৪ ও খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৪ জন।