মানুষকে কোন কথা বলার আগে নিজের সেটা পালন করা উচিত। আর তাই ঈদে মানুষকে গ্রামে যেতে অনুৎসাহিত করার জন্য শুরুতেই নিজের ঢাকায় ঈদ করার কথা জানিয়ে দিলেন মুশফিকুর রহিম। কভিড১৯ মোকাবেলায় তরুণদের উদ্যোগ নিয়ে সোমবার রাতে অনলাইনে আয়োজিত ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, এটা অবশ্যই খুবই জরুরি। কিছু বলার আগে নিজে করা উত্তম। আমার এই ৩২ বছরের জীবনে কখনই ঢাকায় এভাবে ঈদ করিনি। আমার বাবা-মা বগুড়ায় থাকেন। এবারই প্রথম একা একা ঢাকায় ঈদ করছি। কেননা এখন ভ্রমণে যথেষ্ট ঝুঁকি। আপনারা যার যার গ্রামে যাবেন, আবার সেখান থেকে ফিরে আসবেন। আপনি হয়ত এখন কোন লক্ষণ নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন। সেখানে আপনার অনেক আত্মীয় একত্রিত হলো। তারা আক্রান্ত হতে পারে। সচেতনতাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষের ঈদের কেনা কাটার প্রসঙ্গ তুলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উইকেটের পেছনে থাকা অতন্দ্র প্রহরী মুশফিকুর রহিম বলেন, সংবাদে দেখেছি। যেভাবে মানুষ ঈদের কেনা কাটা করছে। তা ঠিক নয়। এক ঈদে একটি জামা না কিনলে তেমন কিছু হবে না। বরং এই টাকা দিয়ে আপনি কাউকে সহায়তা করতে পারেন।
নিজেও বিভিন্নভাবে সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে এই ক্রিকেটার বলেন, আমি হয়ত সরাসরি যাচ্ছি না। কিন্তু চেষ্টা করে যাচ্ছি। শুরু থেকেই মানুষকে সচেতন করতে চেষ্টা করেছি। সেই সঙ্গে আমার এলাকায় এবং খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষগুলোকে সহায়তা করে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এ সময় সারা দেশে ইয়াং বাংলার কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইয়াং বাংলার ভিডিওটি দেখলাম। তরুণরা কাজে এগিয়ে আসছে। আসলে এখন তাদেরই এগিয়ে আসার সময়। তাদের কাজের প্রতি আমি স্যালুট জানাই। তারা বেশ যত্ন সহকারে কাজগুলো করছে। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজটা করলে এই যুদ্ধে জয় করতে পারব। না মানলে তা ঠিক হবে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা মাঠের মানুষ, শেষ দুই মাস ঘরে বসে আছি। আসলে সবার আগে নিজের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ঘরে থাকতে হবে। এটা বেশ ডিফিকাল্ট এবং চ্যালেঞ্জিং। আমরা কেউ এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি। কিন্তু নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই সরকারের নির্দেশাবলী আমাদের পালন করা উচিত। আমাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নার্স-ডাক্তাররা কাজ করছেন। তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে হলেও আমাদের সরকারি নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।