কবে হাতে আসবে কোভিডের ভ্যাকসিন (COVID Vaccine)? বিশ্বজুড়ে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। রাশিয়া কিংবা আমেরিকা চলতি বছরেই ভ্যাসকিন দেওয়ার কথা বলে আশা জোগালেও খুব একটা স্বস্তি দিচ্ছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ভবিষ্যদ্বাণী। কারণ তাদের তরফে শুক্রবার জানানো হল, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের আগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টিকাকরণ সম্ভব হবে না।
হু-এর মতে, টিকাকরণের আগে প্রতিনিয়ত তা সুরক্ষিত এবং কার্যকরী কি না, তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে। আর ঠিক সেই জন্যই সময় বেশি লাগবে। এদিন জেনেভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, “বিশ্বব্যপী টিকাকরণের ক্ষেত্রে অন্তত আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১-এর মাঝামাঝি মতো সময় লেগেই যাবে।
ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্বে সময় আরও বেশি লাগবে। কারণ এবার আমরা এই করোনার টিকা কতখানি সুরক্ষিত, তা খতিয়ে দেখব।” এই পর্বেই মানুষের উপরও ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে দেখা হবে। তাই তাড়াহুড়ো না করার পক্ষে WHO। তবে টিকাকরণের জন্য কাদের বেছে নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
তবে হ্যারিস জানান, অনেকের উপরই টিকা প্রয়োগ করে দেখা হবে। তাই এখনও স্পষ্ট নয়, ভ্যাকসিন মানুষের জন্য কতখানি সুরক্ষিত হবে। ট্রায়াল সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হবে। WHO এবং GAVI জুটি বেঁধে করোনা রুখতে COVAX বাজারে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। যা সফলভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটালে প্রথমে করোনা যোদ্ধা অর্থাৎ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে।
২০২১-এর শেষের মধ্যে এর ২ কোটি ডোজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়াই উদ্দেশ্য হুয়ের। আমেরিকার মতো অনেক দেশ আবার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করে নিজেরাই নিজেদের ভ্যাকসিন সরবরাহের দায়িত্ব নিচ্ছে। তবে WHO জানাচ্ছে, ভ্যাকসিনের জন্য তাদের দরজা খোলাই থাকবে। গোটা দুনিয়াকে করোনামুক্ত করাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল লক্ষ্য।