1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া  নিষেধাজ্ঞার কোন ভিত্তি নেই- জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ২য় ধাপের উপজেলা  পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু ২৯ মে ১১১ টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ জাইকার সহযোগিতায় ঢাবি’সহ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শুরু হলো ডিএমপি’র “রোড সেফটি স্লোগান কনটেস্ট-২০২৪” আগুন ও ভাংচুরের ঘটনায় ২৭০০ জনকে আসামী করে পুলিশের চার মামলা ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আর নেই টাঙ্গাইলে খেলার মাঠের স্বল্পতায় কিশোররা যুক্ত হচ্ছে নেশা, জুয়া সহ গ্যাং কালচারে প্রাইভেট পড়ানোর নামে স্কুলছাত্রদের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার

মুজিববর্ষে উত্তরাঞ্চলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২৮০


প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা
বিনিয়োগে আগ্রহী চীনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে পরিকল্পিত নগরী, পর্যটন কেন্দ্র আধুনিক সেচ ব্যবস্থায় স্থাপন করা হবে কৃষি খামার তিস্তাপাড়ের গ্রামগুলোতে বইছে আনন্দের বন্যা
———————————————————————
॥ মুজিববর্ষে দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষকে তিস্তা নদী ঘিরে মহাপরিকল্পনা উপহার দিতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার। প্রায় আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। চীন এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রকল্পের আওতায় তিস্তা নদীর দুই পাড়ে ২২০ কিলোমিটার গাইড বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

বাঁধের দুই পাশে থাকবে সমুদ্রসৈকতের মতো মেরিন ড্রাইভ; যাতে পর্যটকরা লং ড্রাইভে যেতে পারেন। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে পণ্য পরিবহন করা হবে। নদী পাড়ের দুই ধারে গড়ে তোলা হবে হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও পর্যটন নগরী। রংপুর ও লালমনিরহাট টাউন নামের আধুনিক পরিকল্পিত শহর, নগর ও বন্দর গড়ে তোলা হবে।

তিস্তা পাড় হয়ে উঠবে সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের মতো সুন্দর নগরী। দেড় শ’ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। গড়ে উঠবে আধুনিক সেচ সেবা ও আধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ কৃষি খামার। নৌপথ চালু করা হবে। তিস্তা নদী পাড়ে নতুন নতুন পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পের এই অগ্রগতির সংবাদ নিশ্চিত করেছে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন। এ খবরে তিস্তা পাড়ের গ্রামগুলোতে আনন্দের বন্যা বইছে।

তিস্তা দেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে দুই কূল প্লাবিত হয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় জনপদ। শুষ্ক মৌসুমে পানির জন্য হাহাকার। বাংলাদেশ তিস্তা সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করলে ভারত এই প্রকল্পের ৬৫ কিলোমিটার উজানে কালীগঞ্জের গজলডোবায় একটি সেচ প্রকল্প তৈরি করে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত তিস্তা নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এ কারণেই তিস্তা পাড়ে প্রতিবছর এমন বন্যা ও খরা দেখা দেয়। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনেক আলোচনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোন সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। এই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষকে বাঁচাতে বর্তমান সরকার এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চীন বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যার পরিমাণ বাংলাদেশের অর্থে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। তিস্তা নদী ঘিরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি চুক্তির খুব একটা প্রয়োজন হবে না। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি স্থায়ী রূপ নেবে।

পাল্টে যাবে উত্তরের জনজীবন। এখানে থাকবে না কোন বেকার সমস্যা। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মানুষ এখানে কাজ করতে আসবে। তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখের দিন শেষ হয়ে যাবে। বন্ধ হবে তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্না।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও পান্নি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ‘তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট এ্যান্ড রেস্টোরেশন’ নামে এই প্রকল্প শেখ হাসিনার সরকার বাস্তবায়ন করতে হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক আট হাজার কোটি টাকা।

প্রকল্প বাস্তবায়নের পর এর সঙ্গে যুক্ত হবে আরও হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইয়োলো রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং চায়না নামের একটি চীনা প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকৌশলগত ও আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চীন এই প্রকল্পে সহজশর্তে স্বল্পসুদে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ দিতে আগ্রহী।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগে একটি চক্র এর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে। তাদের মতে, চীনের অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এমন আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়, এটি বাংলাদেশের একটি উন্নয়ন প্রকল্প।

বিশ্বের সকল দেশকে এখানে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হয়। চীন এগিয়ে এসেছে। ভারতের সঙ্গে এ নিয়ে বৈরিতার কোন সুযোগ নেই। ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সব সময় ভারত আমাদের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলে চীন সরকারের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে যান। সেই সময় চীনের সঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্প ও বাণিজ্য বিষয়ে বেশ কয়টি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেই সময় শেখ হাসিনা এক সময় চীনের অভিশাপখ্যাত হোয়াং হো নদী নিয়ন্ত্রণ করে চীনের আশীর্বাদে পরিণত করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের তিস্তাকে আশীর্বাদে রূপ দেয়া যায় কিনা তার প্রস্তাব দেন।

চীন সরকার নিজ উদ্যোগে ও নিজ খরচে দুই বছর ধরে তিস্তা নদীর ওপর সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষা শেষে একটি প্রকল্প নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। চায়না পাওয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই সার্ভে ও ডিজাইন করে।

তিস্তা নদীর বর্তমান নাব্য হ্রাস পেয়েছে। তাই তিস্তা নদীর প্রশস্ততা কোথাও ৮ কিলোমিটার কোথাও আবার ১২ কিলোমিটার। শুষ্ক মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে মরুভূমির মতো রূপ নেয়। এই পরিকল্পনায় তিস্তা নদীর গভীরতা বাড়াতে খনন কাজ করা হবে। নদীর গভীরতা আরও প্রায় ১০ মিটার বৃদ্ধি করা হবে।

সারাবছর নৌ চলাচলের মতো পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এই সংরক্ষিত পানি দিয়ে নদী পাড়ের পুনরুদ্ধার হওয়া লাখ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ ব্যবস্থা করা যাবে। গড়ে উঠবে আধুনিক কৃষি খামার ব্যবস্থা। পুনর্বাসন করা হবে তিস্তা পাড়ের লাখ লাখ ভূমিহীন, নদীভাঙ্গা পরিবারকে।

তিস্তা হয়ে উঠবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় সম্পদ। তিস্তায় ফিরে আসবে জীববৈচিত্র্য। মরু প্রক্রিয়ার হাত হতে রক্ষা পাবে তিস্তা পাড়ের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো। লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৌসুমি মঙ্গা স্থায়ীভাবে ঘুচাতে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও কয়েক লাখ হেক্টর কৃষিজমি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪