গত দুই দিনে যশোরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনসহ নতুন করে ১০০ জনের কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া শনাক্তের তালিকায় রয়েছেন চিকিৎসক ব্যাংকার ও অ্যাডভোকেট রয়েছেন।
এই নিয়ে সোমবার পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হলেন ৩২৬২ জন। এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকালে ইবনে সিনা হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আখতারুজ্জামানের মা আনোয়ারা খাতুন (৯৫)।
যশোর সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, সোমবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টার থেকে পাঠানো ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাঠানো হয়। তাতে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) ল্যাব থেকে পাঠানো আরও ২৬ ফলাফলে ৮ জনের করোনা শনাক্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এরআগে রোববার দুই ল্যাব থেকে ৩৮ জনের করোনা পজেটিভ ফলাফল পাঠানো হয়। ফলে দুই দিনে নতুন করে ১০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ৭৭ জন, শার্শা উপজেলায় ৩ জন, ঝিকরগাছা উপজেলায় ১০ জন, কেশবপুর উপজেলায় ৬ জন, ও অভয়নগর উপজেলায় ৪ জন।
ডা. রেহেনেওয়াজ আরো জানান, এছাড়া ২৮ জনকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আদনান ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, সদরে আক্রান্ত ৭৭ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন,যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ঘোপ জেল রোডের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মিলন (৬৮), জেলরোডের আরেক বাসিন্দা ডা. আকিব (২৬), শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা ডা. ছরোয়ার (২৯), ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা ইউনুস আলী (৫২), উপশহর বি ব্লকের বাসিন্দা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ক্যাশিয়ার ই¯্রাফিল হোসেন (৫২) ও হামিদুপর গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডকোকেট মনিরুল (৫৩)। আক্রান্তরা হোমআইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
যবিপ্রবির অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. তানভীর ইসলাম জানিয়েছেন, রোববার ও সোমবার জেনোম সেন্টারে যশোর জেলার ৮৮ জন ছাড়াও মাগুরা জেলার ৮২ নমুনা পরীক্ষায় ২১ জন ও নড়াইল জেলার ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা ১৬ জনের শরীরে কোভিডের জীবাণু পাওয়া গেছে।
সবমিলিয়ে ৩০৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২৮ জনের করোনা পজিটিভ এবং ৩০৪ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত জেলার ১৩৪৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল এসেছে ১২৪৫৮ জনের। এরমধ্যে করোনা পজেটিভ ৩২৬৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৯৬২ জন।
মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। এরমধ্যে যশোরের ৩৯ জন ছাড়াও ঢাকার হিসাবে ৪ ও খুলনার হিসেবে ৩ জন রয়েছে। সিভিল সার্জন আরো জানান, সর্বশেষ সোমবার সকালে মারা গেছেন যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আখতারুজ্জামানের মা আনোয়ারা খাতুন।
গত শনিবার তার করোনা শনাক্ত হয়েছিলো। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তিনি ইবনে সিনা হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।