যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট চালু হচ্ছে ১ সপ্তাহ পর। মঙ্গলবার ইউনিটটি চালুর সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করেছেন করোনা প্রতিরোধ সম্বনয় কমিটির সদস্যরা। সোমবার করোনা ইউনিট পরিদর্শনের পর আলোচনা সভায় ১ সপ্তাহ পর করোনা ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত নেন কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানসহ কমিটির অন্যরা।
জানা গেছে, ১ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে করোনা ডেডিকেটেড জেডিএল জিডিএল হাসপাতালের সাথে চুক্তির মেয়াদ। বেসরকারি এই হাসপাতালে সরকারিভাবে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিট নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বর্তমানে ইউনিটের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
১ জুলাই ইউনিট চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলো করোনা প্রতিরোধ কমিটি। কিন্তু সোমবার ইউনিটটি পরিদর্শনের পর সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করা হয়েছে।
যশোরের জেলা প্রশাসক ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তমিজুল ইসলাম খান জানান, রোগীদের চিকিৎসাসেবায় ৫০ শয্যার করোনা ইউনিট প্রস্তুত থাকলেও আরেকটু পরিস্কার পরিছন্নতার প্রয়োজন।
যে কারণে আগামী ১ সপ্তাহ পর করোনা ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি ছাড়া পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন , সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ। এদিকে, জিডিএল হাসপাতালে বাড়তি ৭ দিন রোগী থাকার চিকিৎসাসেবা ব্যয় বহন করবেন করোনা প্রতিরোধ সম্বনয় কমিটি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে করোনা সন্দিগ্ধদের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট সাড়ে ৪শ শয্যা প্রস্তুত করা হয়। গত ২৩ মার্চ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল কোভিড-১৯ সন্দিগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করে কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের চিকিৎসা হবে এখানে ।