করোনাকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ননএমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। সরকারি এই প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হলো ফরিদপুরের নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের ১৬ জন শিক্ষক কর্মচারী।
জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার সকল নন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা পেলেও কলেজটির বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এ তথ্য হালনাগাদ না থাকায় এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো উপজেলার এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। উল্লেখ্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিতরণ ও প্রচারের একমাত্র সরকারি সংস্থা ব্যানবেইস। এ ব্যাপারে কলেজটির ননএমপিওভুক্ত অনার্স শাখার শিক্ষক উজ্জ্বল মল্লিক জানান, ননএমপিওভূক্ত শিক্ষকদের একমাত্র আয়ের উৎস শিক্ষার্থীরা।
তাদের প্রদত্ত বেতনের মাধ্যমে আমাদের বেতন প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। করোনাকালীন দুর্যোগে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের বেতনও বন্ধ রয়েছে। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। না পারছি ত্রাণ নিতে, না পারছি কারও কাছে হাত পাততে। সরকার ঘোষিত ননএমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রণোদনার বিষয়টি আশার আলো দেখালেও কলেজটির অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর সায়মা আক্তারের গাফিলতির কারণে আমরা ১৬ জন শিক্ষক কর্মচারী প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কেনো নন এমপিওভূক্ত শিক্ষকরা প্রণোদনা থেকে বাদ পড়েছেন, তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।
তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যানবেইস এর তথ্য হালনাগাদ না করায় কলেজটির নন এমপিভুক্ত শিক্ষকরা এই প্রণোদনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
কলেজটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আব্দুল আজিজ জানান, কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কলেজটির নীতিমালা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।