যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিটি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর আব্দুস আব্দুস সামাদ খানের (৮৩) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। প্রফেসর আব্দুস আব্দুস সামাদ খান যশোর সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ হাসানের পিতা। এদিন নতুন করে আরও ১০৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত যশোর জেলায় ১৮৯০ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। সিভিল সার্জন জানান, শুক্রবার রাতে
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টার
কর্তৃপক্ষ জেলার ২৮৯ জনের
নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাঠান। ফলাফলে ১০৭ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। তাতে ২ জন পুরাতন রোগী রয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার ফলোআপ ফলাফল তাদের পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। ফলে নতুন আক্রান্ত হিসেবে ১০৫ জনের নাম রেকর্ড করা হয়। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৫৩ জন , শার্শা উপজেলায় ১৫ জন, ঝিকরগাছা উপজেলায় ৬ জন, চৌগাছা উপজেলায় ২ জন, মণিরামপুর উপজেলায় ৫ জন, কেশবপুর উপজেলায় ২০ ও অভয়নগর উপজেলায় ৪ জন। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ফলাফল হাতে পেয়েছি। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন আরো জানান, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, গত ১৭ জুলাই আব্দুস সামাদ খানের কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিলো। পরে তাকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সন্ধ্যার দিকে তিনি মারা যান। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহমেদ জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রফেসর আব্দুস সামাদ খানের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ১২ এপ্রিল যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ৩১ জুলাই শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৯০ জন। প্রফেসর আব্দুস সামাদ খানের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে মোট ২৬ জন নারী পুরুষ মারা গেছেন।