নরসিংদীর পলাশে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে। শনাক্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বাড়লেও এখনো চাহিদার তুলনায় পরীক্ষা হচ্ছে নিতান্তই কম। তাছাড়া প্রতিদিনই করোনাভাইরাস পরীক্ষায় আগ্রহী মানুষকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
দিনের পর দিন ঘুরে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে, জানা-অজানা সংক্রমিত-অসংক্রমিতদের ভিড়ে মিশেও বেশির ভাগ মানুষ পরীক্ষা করাতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষার কিট থাকলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে রোগীদের নমুনা সংগ্রহ না করার অভিযোগ রয়েছে।এ অবস্থায় রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ও করোনা পরীক্ষা করাতে আসা আগ্রহী রোগীদের সেবা নিশ্চিতকরণে মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা ইয়াসমিন।
তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য দুইজন টেকনিশিয়ান (টেকনোলজিষ্ট) নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেবা নিতে আসা বিভিন্ন রোগীদের নানাবিধ হয়রানি বন্ধে সর্বক্ষণিক তদারকি করছেন।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, দেশে করোনা সংকট দেখা দেয়ার পর প্রথম দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেকনোলজিষ্টদের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকের সদস্যরা করোনা পরীক্ষায় আগ্রহী রোগীদের নমুনা সংগ্রহ কাজে সহায়তা করতেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই কমিউনিটি ক্লিনিকের সদস্যরা নমুনা সংগ্রহের কাজে সহায়তা করা বন্ধ করে দেয়। ফলে করোনা পরীক্ষায় আগ্রহী রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়তে হয়।
আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র টেকনোলজিষ্ট দিলিপ কুমার দাসও শারীরিক অসুস্থতার কারণে রোগীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছিল।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা ইয়াসমিন বলেন, দেশে করোনা সংকটের এই সময়ে সব থেকে বেশি জরুরি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা।
যে কারণে সরকার স্বাস্থ্য বিভাগে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নরসিংদীর মান্যবর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শতভাগ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে কাজ করছি।