আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রবল মৌসুমি বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা, ভূমি ও ভবনধস এবং বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পাকিস্তানে গত ২৫ জুন থেকে এ পর্যন্ত মোট ১২ দিনে পাকিস্তানে ৮ শিশুসহ অন্তত ৫০ জনের মারা গেছেন। এছাড়া বন্যা ও ভূমিধসজনিত দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮৭ জন।
শুক্রবার দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের (এনডিএমএ) কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পূর্ব পাঞ্জাবে এবং সেখানে অধিকাংশ মানুষ মারা গেছেন ভবন ধস ও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে।
এডিএমএ’র কর্মকর্তারা যে আট শিশুর মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন, তারা সবাই পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার। প্রবল বৃষ্টির ফলে বৃহস্পতিবার আকস্মিক বান ও ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে তাদের।
পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর (পিএমডি) জানিয়েছে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরে বুধবার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ায় সড়কগুলো প্রায় নদীতে পরিণত হয়েছে এবং শহরের ৩৫ শতাংশ এলকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানেও জুন থেকে সেপ্টেম্বর— চার মাস বৃষ্টি হয়। প্রতি বছর যে পরিমাণ বৃষ্টি হয় পাকিস্তানে, তার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই হয় এই চার মাসে।
এই বৃষ্টি একদিকে যেমন পাকিস্তানের জন্য আশীর্বাদ, অন্যদিকে অভিশাপও। কারণ পাকিস্তানের কৃষি এখনও অনেকাংশে এই বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির ভূগর্ভস্থ পানির সঞ্চয়ও নির্ভর করে এই বৃষ্টির ওপর।
আবার অতিবর্ষণ ঘটলে বন্যা হয় দেশটিতে। গত বছর এমন বন্যায় পাকিস্তানে ১ হাজার ৭ শ’রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে ২০ লাখেরও বেশি বাড়িঘর।
সূত্র : এএফপি
বা বু ম / অ জি