আন্তজাতিক ডেস্ক
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিজেপির আকস্মিক তোড়জোড়ে ক্ষুব্ধ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তার অভিযোগ, এসবই বিজেপির ধাপ্পাবাজি। তাদের আসল লক্ষ্য হলো হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
সংসদের এই অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল আনতে চায় কেন্দ্র। বিজেপি তথা জনসংঘ সেই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বলে আসছে, এক দেশ, দুই বিধান-দুই নিশান হতে পারে না।
বস্তুত বিগত বেশ কয়েকটি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারেও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া আছে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে বদ্ধপরিকর গেরুয়া শিবির। দল হিসেবে বিজেপি তো বটেই, উপ-রাষ্ট্রপতির মতো সাংবিধানিক পদে থাকা জগদীপ ধনকড়ও বলে দিচ্ছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে আর এক মুহূর্তও বিলম্ব হওয়া উচিত নয়।
গেরুয়া শিবিরের এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ নোবেলজয়ী। তিনি বলছেন, আমি সংবাদমাধ্যমে দেখছিলাম অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার ক্ষেত্রে নাকি বিন্দুমাত্র দেরি করা উচিত হবে না। এই ধরনের বোকা বোকা কথাবার্তা আসছে কোথা থেকে? আমরা হাজার হাজার বছর অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ছাড়া কাটিয়েছি। আগামী দিনেও এটা ছাড়া চলতে আমাদের কোনও অসুবিধা হবে না। আসলে একটা জটিল বিষয়কে খুব সহজ বলে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলছেন, পুরো অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ব্যাপারটাই একটা ভাওতাবাজি।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো হিন্দু রাষ্ট্রও বিজেপির অলিখিত প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে। অমর্ত্য সেন মনে করছেন, এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আসলে হিন্দুরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছানোর রাস্তা।
তিনি বলছেন, এখানে হিন্দু ধর্মটাকে অপব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মতে, ‘হিন্দু রাষ্ট্র আর যাই হোক, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হতে পারে না। এমনকি হিন্দু রাষ্ট্রের পথে এগোলে আমরা যা জা অর্জন করছি, সেগুলোর মধ্যেও অনেক কিছু মুছে যেতে পারে।
বা বু ম / অ জি