আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ১১৭ জন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ওয়াফিক সাফা হামলার লক্ষবস্তু ছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে তিনি নিহত হয়েছেন কি না জানা যায়নি।
উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, হামলার আগে কোনো সতর্ক বার্তাও দেয়নি ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী। ফলে বৈরুতের দুটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৯০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হিজবুল্লাহর কাছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে এখন সীমান্তবর্তী এলাকা ছাপিয়ে এবার পরস্পরের সীমান্ত থেকে মূল ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে হামলা চালানো শুরু করেছে দুই দেশ। এতে করে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিহতের সংখ্যা। বৈরুতে এক হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ২ হাজারের বেশি মানুষ জন নিহত হয়েছেন।