বুলেটিন ডেস্ক
দেশের ন্যানোটেকনোলজি খাতের পথপ্রদর্শক বিজ্ঞানী এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ন্যানোম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক ভিজিটিং প্রফেসর ড. এ কে এম আব্দুল হাকিম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে ড. হাকিম স্ত্রী, দুই সন্তান ও তিন নাতি-নাতনিসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা তার গবেষণার অসংখ্য গুণগ্রাহী, সহকর্মী ও শিক্ষার্থী রেখে গেছেন। তিনি বিকাশের চিফ কমিউনিকেশন্স অফিসার মাহফুজ সাদিক এর বাবা। তার মেয়ে অনন্যা নন্দিনী সুইডেনে লিনডে নর্থ ইউরোপের কোয়ালিটি স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।
ড. হাকিম দেশের প্রথম ন্যানোটেকনোলজি ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা কয়েক সপ্তাহ আগে একনেকে অনুমোদিত হয়।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে জোহরের নামাজের পর তার প্রথম নামাজ-এ-জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ধানমন্ডি লেক সংলগ্ন তাকওয়া মসজিদে আসরের নামাজের পর তার শেষ নামাজ-এ-জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সূর্যাস্তের সময় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের পেছনে রায়ের বাজার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েও বারবার দেশে ফিরে বুয়েট ও পরমাণু শক্তি কমিশনে গবেষণার সঙ্গেই প্রায় চার দশক ধরে জড়িত ছিলেন ড. হাকিম। তিনি ন্যানোম্যাটেরিয়াল বিষয়ে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী যার ২০০টিরও বেশি গবেষণা নিবন্ধ বিশ্বের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং তার হাত ধরেই বাংলাদেশে ন্যানোম্যাটেরিয়াল গবেষণায় নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের হাতেখড়ি হয়েছে।
তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির সহ-সভাপতি; ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি), ব্যাঙ্গালোরের জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ এবং ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অবস্থিত ভিয়েতনাম একাডেমি অব সায়েন্স এবং সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স প্রোগ্রাম (আইএসপি)-এর ভিজিটিং ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বা বু ম / অ জি