ডেস্ক রিপোর্ট:
এ বছর ছাপানো বইয়ের কাগজের রং কিছুটা ভিন্ন হলেও তা নিউজ প্রিন্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ছাপানো কাগজ অনেক বেশি সাদা হলে তা চোখের জন্য ভালো নয়। আমাদের দেশে সবাই মনে করে বই যত বেশি সাদা হবে তত বেশি ভালো তা কিন্তু নয়। আমাদের বইয়ের কাগজের উজ্জ্বলতা কিছুটা কম হলেও তা নিউজ প্রিন্ট নয়।
মন্ত্রী বলেন, একজন শিক্ষার্থী একটি বই মাত্র এক বছর পড়ে। তাই এই বই নিয়ে বড় ধরনের কোনো অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। যেকোনো কিছু হলে আমাদের গেল গেল করে একটি রব উঠে যায়। কিন্তু সেটা কেন হলো তা বিচার-বিশ্লেষণ করে কেন করতে হলো বা কোথায় সমস্যা হলো সেগুলো নিয়ে কেউ কোনো মাথা ঘামায় না।
তিনি বলেন, এ বছর সেকেন্ডারি পাল্প ছাড়া কোনো পাল্প দেশে ছিল না। বিদেশ থেকেও কাগজ আনার সুযোগ ছিল না। আমাদের কাছে সেকেন্ডারি পাল্প ছিল তা দিয়েই বই ছাপাতে হয়েছে। আর সেটাতে বইয়ের মান একেবারেই খুব খারাপ হওয়ার কথা নয়।
তিনি বলেন, মহামারির পর এবং বৈশ্বিক মন্দার পর নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু বই বাকি থাকলেও আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব শিক্ষার্থীদের হাতে তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে ২০ জন নিবন্ধিত জেলের মাঝে বিকল্প আয়বর্ধক হিসেবে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার হোসেন, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান শোভনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এ সময় অসহায় লোকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন মন্ত্রী।
পরে তিনি চাঁদপুর স্টেডিয়ামে শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের উদ্বোধন করেন এবং বিকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
বাবু/তাপস