ডেস্ক নিউজঃ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবল থেকে বাঁচতে উপকূলীয় ১৫ জেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকায় আটকেপড়াদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয় সেনা, নৌ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। সারাদেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি তদারক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আবহাওয়া অফিসের আগাম সতর্কতা অনুযায়ী দেশের উপকূলীয় ১৫ জেলার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে সোমবার সকাল থেকেই কাজ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য আহবান জানানো হয়। ঝড় বৃষ্টি উপক্ষো করে দুর্গম ও চরাঞ্চলের মানুষদের সন্ধ্যার আগেই বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসেন সেনাবাহিনী এবং নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
এসব এলাকায় প্রায় ৭ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। যেগুলোতে আশ্রয় নেয় ৭ লাখেরও বেশী মানুষ। অনেকে গবাদী পশুসহ আশ্রয় নেয় আশ্রয়ন কেন্দ্রে। তাদেরকে রান্না করা ও শুকনো খাবার দেয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় দরকারি ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি, ও ঝড় পরবর্তি সময়ে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকসহ মেডিকেল টিমও।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলায় পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
সিত্রাংয়ের প্রভাবে সমুদ্র ও নদী উত্তাল থাকায় সারাদেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল সোমবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মোংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে।