ডেস্ক নিউজ:
বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলো আমানতের উপর সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। সুদহার কমিয়ে আনা হলে আমানত পাওয়া যাবে কি না, এ নিয়ে শঙ্কা থাকলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি বিপরীত। বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়ছে আমানতের টাকা। হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, দুই বছরের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোতে আমানত বেড়েছে তিন লাখ দশ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনাকালে গ্রাহকদের সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায়, বাড়ছে আমানত। তবে, আমানতের সুদহার একেবারেই কমিয়ে আনায় বিপাকে সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে এপ্রিলে ব্যাংকগুলোর আমনতের পরিমান ছিল ১১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। দুই বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখ সাড়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থ্যাৎ, ২ বছরে আমানত বেড়েছে সাড়ে ২৭ ভাগ।
এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি ১০০ টাকায় ৮৭ থেকে ৯২ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়ার ক্ষমতা ব্যাংকগুলোকে দিয়ে রাখলেও চলতি বছরের এপ্রিলে ঋণ আমানত অনুপাত মাত্র ৭২ দশমিক চার আট ভাগ।
অর্থনীতিবিদ সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, গ্রাহকদের সঞ্চয় প্রবণতায় আমানত বাড়ছে, কিন্তু বিনিয়োগ না বাড়ানোতে ব্যাংকগুলোও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।