আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর,ময়মনসিংহঃ
২৩/০৫/২১ ইং তারিখ উপজেলা প্রাণিদম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল,ত্রিশালে কর্মরত ৮ জন ইন্টার্ন ডাক্তারকে নিয়ে ভালুকার উথুরা ইউনিয়নে ‘রেপটাইলস ফার্ম বা কুমির প্রজনন খামার ও ত্রিশালের রহমানিয়া ডেইরি খামার পরিদর্শনে যান উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ । এখানে থেকে কুমির খামার বিষয়ে ইন্টার্ন ডক্টরস গন সম্মক বাস্তব জ্ঞান লাভ করেন। যেমন কুমিরের জাত দেশে দুই ধরণের কুমির পাওয়া যায়-মিঠা পানির কুমির ও লোনা পানির কুমির।বাণিজ্যিকভাবে সাধারণত লোনা পানির প্রজাতির কুমিরের চাষ করা হয়। ৮ থেকে ১০ বছর বয়সে এসব কুমির ডিম পাড়া শুরু করে। বছরে একবার বর্ষাকালে গড়ে ৫৫ থেকে ৬০টি ডিম দেয় কুমির। এসব ডিমের প্রায় সব গুলো থেকেই বাচ্চা পাওয়া যায়। কুমির ৮০ থেকে ১০০ বছর বেচে থাকে। খামারের কুমির ৬/৭ বছর পর থেকেই ডিম দিতে শুরু করে। খামারের বাইরে খোলা পানিতে চাষ করা হলে ডিম দিতে সময় লাগে ১৩/১৪ বছর। বাচ্চা ফুটতে সময় লাগে ৮০-৯০ দিন।বাণিজ্যিক খামারে পালিত কুমির ৬/৭ বছরের মধ্যে মেসুরিটি বা প্রজনন ক্ষমাতা লাভ করে কারণ এখানে ভাল পরিচর্যা ও খাবার পেয়ে থেকে আর ন্যাচরালি কুমির ১৩/১৪ বছরে প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে। সাধারণত বর্ষাকাল কুমিরের প্রজননের সময়। এক বছর বয়স পর্যন্ত কুমিরকে প্রতিদিন একবার খাবার দেয় এখানে। এক বছর বয়স থেকে দুই বছর বয়স পর্যন্ত কুমিরকে সপ্তাহে পাঁচ দিন করে খাবার দেয় এবং দুই বছর থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন খাবার দেয়া হয়। আর ব্রিডার কুমিরকে সপ্তাহে এক দিন দৈহিক ওজনের ১৫% খাবার ১ মাসে দেয়া খাবার দেওয়া হয়। ছোট কুমিরকে গরু ও মুরগি মাংসের কিমা এবং মুরগির মাথা দেওয়া হয়। ব্রিডার কুমিরকে ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংস ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ খেতে দেওয়া হয়। কুমির পুকুরের আশে পাশে বিভিন্ন জঙ্গল বা ঘাস দিয়ে নেষ্ট তৈরি করে ডিম পাড়ে। কুমির এক সাথে ৫৫-থেকে ৬০ টি ডিম দিয়ে থাকে। ডিম থেক বাচ্চা বের হতে ৮৫ থেকে ৯০ দিন লাগে। সাধারণত ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী কুমিরের চামড়া সংগ্রহ করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কারণ এ বয়সে চামড়া একটু নরম থাকে যা প্রসেসিং এ সহজ। একটা বড় কুমিরের ওজন ১০০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। বর্তমানে এ খামারে প্রায় ২৮০০ টি কুমির রয়েছে। কুমিরের তেমন কোন রোগ বালাই হয়না বললেই চলে। ইন্টার্ন ডক্টরসরা কুমির বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পেরে খুবি খুশি এবং বাস্তব জীবনে এটা তাদের অনেক কাজে দিবে বলে বিশ্বাস।ত্রিশাল প্রাণিসম্পদ অফিস এর পক্ষ থেকে ডাঃ আবু সাইম আরিফ,ব্যবস্থাপক,কুমির প্রজনন খামার ভালুকা তার সহযোগিতার জন্য এবং আতিথিয়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।