কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে আজ থেকে কমিশন প্রাঙ্গণে শুরু হল “বাংলাদেশ-এর বিজয় উৎসব”৷
সকাল ৮টায় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ৷
তারপর, “বঙ্গবন্ধু কর্ণার”-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয় ৷
পরে, বাংলাদেশের মাননীয় রাসট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাসট্রমন্ত্রী ও পররাসট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় বাংলাদেশ গ্যালারীতে ৷
প্রভাতী অনুষ্ঠানের শেষে ছিল বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠান৷
বিকেল সাড়ে চারটেয় ঐ প্রাঙ্গণেই আয়োজিত হয় দু’দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ৷ শুরুতে ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবননির্ভর একটি তথ্যচিত্র ৷ তারপর বক্তব্য পেশ করেন উপ-হাইকমিশনার জনাব তৌফিক হাসান ৷ পরে, ভিডিও মারফৎ উপস্থাপিত করা হয় বাংলাদেশের রাসট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা৷
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের পরিবারের সঙ্গীত পরিবেশন ৷ এরপর গান শোনান কমিশনের কর্মচারীরা ৷ সঙ্গীতানুষ্ঠানের শেষে ছিল পশ্চিমবঙ্গে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের এক অসাধারণ সম্মিলিত নিবেদন ৷
এরপর সঙ্গীত ও আবৃত্তির মাধ্যমে অন্যধরণের একটি অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন শুভদীপ চক্রবর্তী ও চিরন্তন বন্দোপাধ্যায় ৷ তাঁরা বঙ্গবন্ধুর উপর ৭টি গান রচনা করেছেন ৭টি দেশের শিল্পীদের নিয়ে৷
“অসমাপ্ত আত্মজীবনী” গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ পাঠ করেন মলি দেবনাথ ৷ তিনি কবীর সুমনের একটি রচনাও পড়ে শোনান৷
সুমিতা ভট্টাচার্যের পরিচালনা ও অংশগ্রহনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতানির্ভর “তুমি আসবে বলে” নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশন করে “ছন্দে ছন্দে” সংস্থা৷ এটি ছিল একটি পরীক্ষামূলক প্রয়াস৷
আবৃত্তি পরিবেশন করেন রোজী ঘোষ দে ৷ প্রথমদিনের সর্বশেষ নিবেদন ছিল শমীক পালের সঙ্গীতানুষ্ঠান৷