প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে পাকা রসালো ফল লিচু। বাজারেও এসেছে হরেক প্রজাতির লিচু। বাংলাদেশ ফল গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে লিচু চাষকৃত জমির পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার ৫৭৪ হেক্টর। এ পরিমাণ জমি থেকে বছরে লিচু উৎপাদিত হয় প্রায় ১৫ হাজার ৮৫৬ টন। ডিমলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে সব মিলিয়ে ডিমলা উপজেলায় এবার প্রায় ১৪ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। তবে বিক্রি ও দাম নিয়ে দিশেহারা চাষীরা।
প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ডিমলা উপজেলায় লিচু ব্যবসায়ীগন ফুল আসার আগে কিংবা পড়ে লিচু বাগান ক্রয় করে। ক্রয়ের পর নিজেরাই বাগান পরিচর্যা করে আধুনিক পদ্ধতিতে বেশি ফল উৎপাদনের ব্যবস্থা করেন। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা না আসায় লিচু বাগান মালিকদের নিজেদেরকে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লিচু বাজারজাত করতে হবে।
উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দরখাতা গ্রামের বাগান মালিক আলম মিয়া জানান, এ বছর বেশি রোগবালাই না হওয়া এবং সে সে রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় গত বেশ কয়েক বছরের চেয়েও ফলন ভালো হয়েছে। লিচু বাজারজাত করা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
দেখা গেছে কিছু কিছু বাগানে লিচুর ফুল ফোটার শুরুতেই এলাকায় মৌ চাষিরা আসতেন মধু সংগ্রহের জন্য। ফুল থাকাকালীন সময় প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো মধু সংগ্রহ করা হতো । এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে লিচু ফুলের মধু সংগ্রহের প্রক্রিয়াটিও বাদ পড়েছে বলে জানান চাষীরা।
ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী জানান, উপজেলায় প্রায় ১৪ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। ফলন গত বছরের তুলনায় বেশি হয়েছে। চলমান করোনা প্রাদুর্ভাবে চাষীরা পরিবহন সমস্যায় রয়েছে। রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লিচু সরবারাহ করতে না পারায় চাষীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।