বিভিন্ন রকম নানের মধ্যে আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ গার্লিক নান! আমার মতো অনেকেই আছে যারা রেস্টুরেন্টে গেলে গার্লিক নান অর্ডার করবেই। কাবাব, গ্রিল কিংবা বাটার চিকেনের সাথে এর কোনো জুড়ি নেই। বাইরে খেলে হাইজিন ও রান্নার পরিবেশ নিয়ে মনে দ্বিধা থেকেই যায়। খুব সহজে গার্লিক নান ঘরেই তৈরি করে নেওয়া যায়। কিন্তু কিভাবে রেস্টুরেন্টের মতো পারফেক্ট ও তুলতুলে নান রুটি বানানো যায়, সেটা নিয়েই ভাবছেন তো? অনেকে আবার মনে করেন, ওভেন ছাড়া নান বানানো যাবে না! চুলায় তৈরি গার্লিক নানের স্বাদ কিন্তু কোনো অংশে কম হয় না। চলুন তাহলে জেনে নেই, চুলায় গার্লিক নান তৈরির রেসিপিটি!
গার্লিক নান তৈরির নিয়ম
উপকরণ
ময়দা- ২ কাপ
ইস্ট- ১ চা চামচ
গরম দুধ- ১ কাপ
লবণ– পরিমাণমতো
বেকিং পাউডার- ১ চিমটি
গলানো বাটার- ৪ চা চামচ
রসুন মিহি কুঁচি করা- ২ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালী
১) প্রথমে গরম দুধের সাথে ইস্ট মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। এবার দশ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন।
২) বড় একটি বোলে ময়দা, বেকিং পাউডার ও লবণ অর্থাৎ শুকনো উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
৩) এরপর এতে রসুন কুঁচি ও বাটার দিয়ে দিন। ইস্টযুক্ত দুধ আস্তে আস্তে ঢেলে খামির তৈরি করে নিতে হবে। চাইলে বাটারের পরিবর্তে তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
৪) প্রয়োজন হলে গরম পানি যোগ করুন। খুব নরম করে ডো বানাতে হবে, তাহলে নান নরম ও তুলতুলে হবে।
৫) এবার ডো-এর উপর অল্প তেল বা বাটার মাখিয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। গরম কোনো জায়গায় রাখতে পারলে ভালো। কিছুক্ষণ পর দেখতে পারবেন, ডো ফুলে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
৬) এবার একে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে নিন। তারপর ভাগ ভাগ করে নিয়ে রুটির মতো বেলে নিন। আপনার পছন্দ মতো শেইপে নান তৈরি করুন।
৭) অন্যদিকে তাওয়া গরম করতে দিন। বাটার দিয়ে মাঝারি আঁচে নানগুলো সেঁকে নিতে হবে।
৮) যখন দেখবেন নানের উপরের অংশ ফুলে উঠেছে, তখন এটাকে সাবধানে উল্টে দিন। এভাবে সময় নিয়ে একটা একটা করে নান সেঁকে তুলে নিন।
ব্যস, তৈরি হয়ে গেল রেস্টুরেন্ট স্বাদের মজাদার গার্লিক নান! এবার গরম গরম নান যে কোনো কাবাব, ডাল, সবজি অথবা চিকেনের সাথে পরিবেশন করুন। রুটি ও পরোটাতো ঘরে ঘরে প্রতিদিনই তৈরি হয়। একঘেয়েমি মেন্যু থেকে বেরিয়ে এসে স্বাদে একটু পরিবর্তন আনতে আজই গার্লিক নান ট্রাই করে ফেলুন।