1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন

হোয়াইট হাউসের বাইরে ভয়াবহ বিক্ষোভ, ‌‘বাঙ্কারে’ ট্রাম্প

  • সময় : সোমবার, ১ জুন, ২০২০
  • ১৬৫


পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার রাতে হোয়াইট হাউসের বাইরে জড়ো হন বিক্ষোভকারী। তারা আমেরিকার পতাকা ও প্রতিবাদী নানা প্ল্যাকার্ড হাতে মুহুর্মুহু স্লোগান দেন এবং আগুন জ্বেলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। একপর্যায়ে হোয়াইট হাউসের কাছেই অবস্থিত ঐতিহাসিক সেন্ট জনস চার্চে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।

খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা আমেরিকান পতাকা ও বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেন। তারা গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন এবং আশপাশের ভবনে ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারীদের বলপ্রয়োগ করে হটিয়ে দেয়। তারা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এসময় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বেধে যায়।


গত সোমবার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে আটককালে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশব্যাপী হাজার হাজার লোক রাস্তায় বিক্ষোভ করে এবং সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। 

ফ্লয়েডকে আটকের পর এক পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে ৯ মিনিট ঘাড় চেপে ধরে রাখেন এবং এতে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ ঘটনা কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে পুলিশের বর্বরতার প্রতীকে পরিণত হয় এবং ব্যাপক প্রতিবাদের সূচনা হয়।

নিউইয়র্ক টাইমসের অন্য এক খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউস ঘেরাও করলে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা প্রেসিডেন্টকে ভূগর্ভস্থ কক্ষে নিয়ে যান। এর আগে সন্ত্রাসী হামলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মাটির নিচের ওই বাঙ্কারে নেয়া হয়। ২০০১ সালে নাইন/ইলেভেনের হামলার সময়ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনিকে ওই কক্ষে নেওয়া হয়।

বিক্ষোভ থামাতে গত শনিবার ২৫টির বেশি শহরে কারফিউ জারি এবং ১২টি অঙ্গরাজ্যে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের সতর্কও করেছেন। এসব বিধি অমান্য করেই শনি ও রোববার হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে এসে নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান। অনেক জায়গায় লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪