স্টাফ রিপোর্টার-
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাতেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আগামীকাল রবিবার ভোরে ‘রেমাল’ নামে ঘূর্ণিঝড়টি দেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ মো. আজিজুর রহমান।
এই আবহাওয়াবিদ জানান, গভীর নিম্নচাপটি আজ রাত ৯টায় আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরপর আগামীকাল মধ্যরাত নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উপকূলীয় এলাকা খুলনা, মংলা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে আঘাত হানতে পারে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১৮ কিলোমিটার।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামীকাল থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পরিমাণ হতে পারে ৩০০ থেকে ৩১৫ মিলিমিটার।
সাগরের মধ্যভাগ দিয়ে আসার কারণে ‘রেমাল’ আরও শক্তি সঞ্চয় করছে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ মো. আজিজুর রহমান।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ‘রবিবার ভোর থেকে এটা প্রাথমিক আঘাত হানতে পারে। এরপর সন্ধ্যা নাগাত মূলটা আঘাত হানবে। পূর্বাভাসে আমরা এরকমই বুঝতে পারছি এবং আজকে রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে এটা ডেঞ্জার পয়েন্টে চলে যেতে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৮.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৮° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হলো।