প্রস্তাবিত বাজেটকে জীবন ও জীবিকার বাজেট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর এই সময়ে কৌশলগত কারণেই এই উচ্চাভিলাষী বাজেট প্রণয়ন করেছে সরকার।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রোববার সকালে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। অধিবেশনে অর্থ বিল উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিছু ছাঁটাই প্রস্তাব নিস্পত্তি করে পরে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয় জাতীয় সংসদে।
করোণা ভাইরাসের কারণে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশোধনী আনতে সরকার বাধ্য হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার মহামারীতে বিশ্ব অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় ও সমাপনী বক্তব্যে অংশ নিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাস এর প্রভাব না কমলে হয়তো এই বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তবে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে যেন অর্থনীতিকে অগ্রগতির পথে ধরে রাখা যায় তার জন্যই এই উচ্চাভিলাষী বাজেট দেয়া হয়েছে।
সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি, বিলাসী ব্যয় হ্রাস করাসহ চারটি কৌশল তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি প্রদান, ক্ষুদ্র মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের জন্য প্রণোদনা এবং আমদানি রপ্তানির জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা দিয়ে অর্থনীতিকে সচল রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, তার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অব্যাহত রাখবে। দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যে ব্যাংক সুদের হার এক ডিজিটে আনা হয়েছে পাশাপাশি তৈরি করা হচ্ছে একশটি অনৈতিক অঞ্চল যেখানে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
একটি মেডিকেল কলেজে শুধুমাত্র থাকা খাওয়ায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ের হিসেবকে স্বাভাবিক ভাবেই একটি অস্বাভাবিক হিসেব উল্লেখ করে তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।