ডেস্ক রিপোর্ট-
দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। পূজা-অর্চনা, ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজনে চারদিন মেতে থাকবেন তারা। আজ শনিবার দুর্গাপূজার মহাসপ্তমী। দেবীর আগমন পূর্বাহ্নের মধ্যে সপ্তমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। রয়েছে অঞ্জলি প্রদান।
এবার দেবী দুর্গা ঘোটকে এসেছেন, যাবেনও ঘোটকে। তার মানে সবকিছু ছত্রভঙ্গ হবে।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রম, বরোদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ মণ্ডপ, পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজারসহ সারা দেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী বলেন, ‘মহাষষ্ঠীর সকালের পর্ব কল্পারম্ভ। আমরা সংকল্প করলাম যে পূজা করব। আমরা কল্পনা করছি, দেবী বিল্ববৃক্ষে এসেছেন। তাকে আমরা পূজা করেছি। এটাই কল্পারম্ভ। বোধন এবং অধিবাসের মধ্য দিয়ে দেবীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সন্ধ্যায়।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু দেবী দুর্গা ঘোটকে আগমন এবং ফিরে যাবেন বলে ছত্রভঙ্গ হবে সেহেতু আমরা দেবীর কাছে বর চাইব। সব প্রতিক‚ লতায় তিনি যেন আমাদের শক্তি জোগান।’
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৮ মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীতে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে ২৪৫টি মণ্ডপে।
আগামীকাল রবিবার মহাঅষ্টমী, এদিন হবে সন্ধিপূজা। রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সোমবার সকালে বিহিত পূজার মাধ্যমে হবে মহানবমী পূজা এবং মঙ্গলবার বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজা।