আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আলোচিত তোশাখানা মামলায় নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। ইমরানের আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য।
পাঞ্জুথা জানিয়েছেন, সোমবার হাইকোর্টে আপিল করেছেন তারা এবং আগামী বুধবার সেই আপিলের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সফল ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ৭০ বছর বয়স্ক ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ— ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান ও উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া দামী সব উপহার সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন তিনি।
এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশন আদালতে একটি মামলা করেছিল। সাধারণভাবে সেটি পরিচিতি পায় ‘তোশাখানা মামলা’ নামে। শনিবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করেছেন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার।
রায়ে ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।
বিচারক এই নির্দেশ দেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই লাহোরের অভিজাত এলাকা জামান পার্কের নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। বর্তমানে তিনি পাঞ্জাবের অটোক জেলে রয়েছেন।
২০২২ সালের ১০ এপ্রিল বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বিদেশি মুদ্রার মজুত কমে যাওয়া এবং আইএমএফের ঋণের কিস্তি স্থগিতাবস্থা এই সংকটকে করেছে আরও ঘনীভূত। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, পাকিস্তানের এই সার্বিক টালমাটাল পরিস্থিতির কেন্দ্রে রয়েছেন ইমরান খান।
এদিকে, শনিবার ইমরান খানকে কারাগারে পাঠানোর পর রোববার তার আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, পিটিআই চেয়ারম্যানকে খুবই নিম্নমানের একটি সেলে রাখা হয়েছে; তিনি আরও বলেন সেখানে ডে টয়লেটটি আছে, সেটি খোলা এবং মাছি ও পোকামাকড়ে পরিপূর্ণ।
তার এই অভিযোগের জবাব দিয়ে সোমবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ দেশটির সম্প্রচার সংবাদমাপধ্যম জিও নিউজকে বলেন, ‘কারাগারে প্রতিটি সেলের ভেতরে একটি করে টয়লেট আছে। কোনো পৃথক শৌচাগার সেখানে নেই।’
‘কারাগারে এখন ইমরান যেভাবে দিন কাটাচ্ছেন…. তার মনে রাখা উচিত—ক্ষমতা থাকাকালে যাদেরকে কারারুদ্ধ ইমরান করেছিলেন, তারাও সেভাবেই সেখানে দিন কাটিয়েছেন।’
বা বু ম / অ জি