খেলা ডেস্ক
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বন্দর নগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই আফগানিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের পকেটে পুরেছিল বাংলাদেশ। ২-১ শুনে আবার ভাববেন না কষ্ট করে শেষ ম্যাচে গিয়ে সিরিজ নিজেদের করেছিল টাইগাররা।
ইতিহাস সাক্ষী, প্রথম ২ খেলায় যথাক্রমে ৪ উইকেট ও ৮৮ রানে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে আফগানদের হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল তামিমের দল; কিন্তু শেষ ম্যাচে জয়ের বদলে ৭ উইকেটের পরাজয় সঙ্গী হওয়ায় আর আফগানদের ‘বাংলাওয়াশ’ করা সম্ভব হয়নি।
প্রথম ম্যাচে মাত্র ১ রানে সাজঘরে ফিরলেও পরের দুই ম্যাচে ১৩৬ আর ৮৬ রানের একজোড়া দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দিয়ে সিরিজ সেরা হন লিটন দাস। ব্যাটার লিটন দাসের ম্যান অফ দ্য সিরিজ হওয়াই বলে দিচ্ছে জয়ের মূল কারিগর ছিলেন ব্যাটাররা। তার মানে পিচ ছিল ব্যাটিং সহায়ক।
অবশ্য সাগরিকার উইকেট বরাবরই ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। ধারণা করা হচ্ছে, এবারো জহুর আহমেদ চৌধুরীর পিচ ব্যাটিং অনুকুলই থাকবে। ফাস্টবোলার ফজল হক ফারুকি, আহমেদ ওমরজাই আর তিন স্পিনার রশিদ খন, মোহাম্মদ নবি ও মুজিবুর রহমানের মত বোলার আছেন আফগান স্কোয়াডে। যারা অনুকুল ক্ষেত্র পেলে চড়ে বসতে পারেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই তারা যাতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে না পারেন, নিশ্চয়ই সে দিকে লক্ষ্য রেখেই পিচ তৈরির চিন্তা থাকবে স্বাগতিক টিম ম্যানেজমেন্টের।
কাজেই ব্যাটিং অনুকুল উইকেট ধরেই হয়ত সাজানো হবে একাদশ। ‘শতভাগ ফিট না থাকলেও বুধবার আমি খেলবো’, যেহেতু অধিনায়ক তামিম নিজেই একথা বলেছেন- তাই অধিনায়ককে ধরেই সাজানো হবে বুধবার প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ। তার ওপেনিং পার্টনার লিটন দাস।
এক বছর আগে এই চট্টগ্রামের সাগরিকায় যার আছে দারুণ এক ম্যাচ জেতানো শতক। সঙ্গে ফর্মের চুড়ায় থাকা বাঁ-হাতি নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশ একাদশে ৬ প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার (তামিম, লিটন, শান্ত, সাকিব, মুশফিক ও তাওহিদ হৃদয়), তিন পেসার (তাসকিন, এবাদত আর মোস্তাফিজ) এবং ৩ স্পিনার (সাকিব, মিরাজ ও তাইজুল) খেলার সম্ভাবনাই বেশি।
আফিফ হোসেন ধ্রুবকে খেলানো হবে কি না? সেটাই দেখার। ইতিহাস জানাচ্ছে, গতবছর ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামের এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াসে প্রথম খেলায় নিশ্চিত হারা ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। সে দারুন জয়ের যৌথ রূপকার ও নায়ক ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব।
২১৬ রানের মাঝারি টার্গেট তাড়া করতে নেমে একদম শুরু থেকে পিছনের পায়ে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৪৫ রানে খোয়া যায় ৬ উইকেট। তামিম, লিটন, সাকিব, মুশফিক, ইয়াসির আলী ও রিয়াদ ফিরে যান সাজঘরে।
সেখান থেকে হাল ধরেন মিরাজ ও আফিফ। অবিচ্ছিন্ন ১৭৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন তারা দু’জন। আফিফ খেলেন ৯৩ রানের হার না মানা (১১৫ বলে ১১ বাউন্ডারি ও এক ছক্কা) ইনিংস। মিরাজ নটআউট থাকেন ৮১ রানে (১২০ বলে ৯ বাউন্ডারি সহ)।
কাজেই এক বছর পর সেই মাঠে আফগানদের বিপক্ষে একাদশ সাজানোর আগে অধিনায়ক তামিম ও নির্বাচকদের মাথায় নিশ্চয়ই আফিফের সে ম্যাচ জেতানো ভূমিকার কথা মনে থাকবে। তাই এ বাঁ-হতি কাল বুধবার একাদশে থাকলে অবাক হবেন না।
আফিফ খেললে একাদশের ধরন হবে একরকম, আর না খেললে হবে আরেক রকম। আফিফ খেললে ব্যাটারের সংখ্যা বেড়ে ৬ থেকে ৭ হবে। তখন আর ৬ স্পেশালিস্ট ব্যাটারের সঙ্গে তিনজন করে পেসার ও স্পিনার খেলানোর সুযোগ থাকবে না। একজন বোলার কমাতেই হবে। সেটা কি পেসার না স্পিনার সেটাই দেখার।
বা বু ম / অ জি