1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন

রংপুরে বছরে ‘৫০ হাজার টন’ খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়েছে

  • সময় : শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩
  • ৬০

রংপুর সংবাদদাত

রংপুর জেলায় ২০১৯ সালে সেচ সম্প্রসারণ (ইআইআর) প্রকল্প হাতে নেয় বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। প্রকল্পের আওতায় জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়া নদী ও খাল-বিল পুনঃখনন করে জলাবদ্ধতা দূর করা হয়। এর সুফ+ল মিলেছে খাদ্যশস্য উৎপাদনে। ফলে জেলায় এখন আগের চেয়ে বছরে ৫০ হাজার মেট্রিকটন খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে; যার বাজারমূল্য ১২৫ কোটি টাকা।

শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে রংপুর নগরীর আরডিআরএস বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে এক সভায় এসব জানান বিএমডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও ইআইআর প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান খান। ইআইআর প্রকল্পের কার্যক্রম অবহিত করতে এই সভার আয়োজন করে বিএমডিএ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এডব্লিউএম রায়হান শাহ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের অতিরিক্ত পরিচালক শামীমুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কৃষক, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা। সঞ্চালনা করেন বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম মশিউর রহমান।

হাবিবুর রহমান খান জানান, রংপুরে ইআইআর প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৯ সালে। এরপর থেকে জেলার ১২০ কিলোমিটার খাল, ৬টি বিল, ৫০টি পুকুর পুনঃখনন করা হয়েছে। নদী ও খালে ৪টি ক্রসড্যাম, ৫টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। সেচের জন্য ৬৫টি বিদ্যুৎ চালিত এবং ৩০টি সৌরচালিত সেচযন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি সেচযন্ত্রের সঙ্গে দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বারিক পাইপ মাটির নিচ দিয়ে বসানো হয়েছে। এতে করে কৃষকের পানি ও ভূমির অপচয় রোধ হচ্ছে।

তিনি জানান, পুনঃখনন করা খালের দুই পাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সম্পূরক সেচ, হাঁস চাষ, মাছ চাষ ও পাট পঁচানোসহ বিভিন্ন গৃহস্থলির কাজ হচ্ছে। নদী-খাল খননের ফলে পানি নিষ্কাশনের সুযোগ তৈরি হয়। এতে ১০ হাজার হেক্টর জলাবদ্ধ জমিতে এখন একাধিক ফসল চাষের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে বছরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে। যার বাজারমূল্য ১২৫ কোটি টাকা। এছাড়া নদী, খাল-বিলের দুধারে ১ লাখ ৪৮ হাজার ফলদ, বনজ, ওষুধি ও শোভাবর্ধনকারী গাছের চারা লাগানো হয়েছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরে আসায় এসব এলাকায় পাখ-পাখালির মেলা বসছে। এছাড়া নদী ও খালের দুপাড়ে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে নেপিয়ার ঘাস, কলা ও বিভিন্ন ধান-শাকসবজি চাষ করছেন।

জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন বলেন, ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। ইআইআর প্রকল্প তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এটি আমাদের কৃষি, পরিবেশসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে নদী-খাল-বিল খননে ভূমি নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় অধিবাসী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষের সমন্বয়ে এসব সমস্যা নিরসন করতে হবে। নদী-খাল-বিলে প্রাণ ফেরাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।

বা বু ম / অ জি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪