নিজেস্ব প্রতিবেদক
বিশ্বে বীজের মান নিয়ন্ত্রণে ইন্টারন্যাশনাল সিড টেস্টিং অ্যাসোসিয়েশনের স্বীকৃতি ও সনদ পেয়েছে লাল তীর সিড লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এমএনটি সিড টেস্টিং ল্যাবরেটরি। দেশের প্রথম কোনো বীজ পরীক্ষাগার এ সনদ পেল।
আজ শুক্রবার গাজীপুরের বাসনে লাল তীর সিড লিমিটেডের প্রধান গবেষণা কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় লাল তীর সিড লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আনাম, মহাব্যবস্থাপক আবদুর রশিদসহ কোম্পানির অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, এখন থেকে এ পরীক্ষাগারে বীজের গুণমান পরীক্ষা করে যে প্রত্যয়পত্র দেওয়া হবে, তা বিশ্বের সব দেশের সরকার ও বেসরকারি খাত কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হবে।
১৯৯৫ সালে লাল তীর সিড লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বেসরকারি খাতে প্রথম গবেষণাভিত্তিক বীজ কোম্পানি। এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ৩৫টি ফসলের ১৯৯টি জাত উদ্ভাবন করেছে, যার মধ্যে ৮৭টি হাইব্রিড। পাশাপাশি দেশি জাত সংরক্ষণে এ পর্যন্ত লাল তীর বাংলাদেশের আনাচকানাচে ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিভিন্ন ফসলের ১ লাখ ৩০ হাজার জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করেছে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে এমএনটি সিড টেস্টিং ল্যাবরেটরির সামনে বিজ্ঞানী ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাছবি: সংগৃহীত
এ সময় লাল তীর সিড লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে গেলে হয় জমি বাড়াতে হবে না–হয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। কিন্তু আমাদের জমি বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। সে জন্য সবাই উৎপাদনশীলতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে, আমরাও সে কাজটি করছি।’
লাল তীরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আনাম বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত লাল তীরের বীজ দেশের বাইরেও (মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায়) রপ্তানি করা হচ্ছে।
২০১৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল সিড টেস্টিং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পদ অর্জন করে লাল তীর সিড লিমিটেড। এর পর থেকে সংস্থাটি দীর্ঘ সাত বছর ধরে লাল তীর সিডের কার্যপ্রক্রিয়া, পদ্ধতি যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা করে। ২০২৩ সালের মে মাসে তারা এই বীজ পরীক্ষাগারকে বিশ্ব মানসম্পন্ন হিসেবে স্বীকৃতি সনদ অনুমোদন করেছে।
মাহবুব আনাম বলেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৮৩টি দেশের ১৩০টি ল্যাবরেটরি ইন্টারন্যাশনাল সিড টেস্টিং অ্যাসোসিয়েশনের স্বীকৃত এবং বীজের মান নির্ণয় ও সনদ দেওয়ার জন্য অনুমোদিত। এই সনদ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
বা বু ম / অ জি