নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইউটিউব ও ফেসবুকে ‘মিথ্যা তথ্যসংবলিত’ ভিডিও ক্লিপ আপলোড করায় ‘নাগরিক টিভি’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল ও এর ফেসবুক পেজ পরিচালনায় জড়িত সাতজনের নামে এবার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক জহিরুল কবিরের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী এমরুল করিম।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণিতে বলা হয়, হাছান মাহমুদকে রাজনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও মানহানি করতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইউটিউবে নাগরিক টিভির চ্যানেল ও এর ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করা হয়েছে। চার দিন আগে এটি প্রচার করা হয়। পরে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি বাদী দেখতে পান। প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক ও মানহানিকর।
বাদীর আইনজীবী নিখিল চন্দ্র নাথ বলেন, তথ্যমন্ত্রীকে জড়িয়ে কথিত ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভুয়া ভিডিও প্রচার করে। ভিডিওটি প্রত্যাহার করতে ফেসবুক, ইউটিউব, বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভিডিওটি সরাতে নির্দেশ দেন।
এর আগে গত রোববার রাতে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন মো. আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। সেই মামলায়ও একই অভিযোগ করে সাতজনকে আসামি করা হয়।
বা বু ম / অ জি