নিজেস্ব প্রতিবেদক
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বে থাকা সদস্যদের মধ্যে মোটিভেশন এবং মনিটরিংয়ের অভাবে অনেক ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন বর্ডার গার্ডার বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সীমান্তে বিএসএফের লোয়ার লেভেলে যারা কাজ করে মোটিভেশনের অভাব বা অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে আমি এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়েছি সম্মেলনে। বিএসএফ যদি তাদের কন্ট্রোলিংয়ের বিষয়টি আরও বাড়ায় এবং এসব বিষয় যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে এসব বিষয়ে সুফল পাওয়া যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিভিন্ন সময় ঘটে থাকে। যা অনেকটা কাকতালীয়। তবে সীমান্তে যে কোনো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিজিবি কিংবা বিএসএফের জন্য বিব্রতকর।
বিজিবি জানিয়েছে, গত ১১ জুন সকালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিএসএফ চাওলা ক্যাম্পে সীমান্ত সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিরসন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক পাচার, মানব পাচার রোধ, স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এবং পারস্পারিক সম্প্রীতি ও আস্থা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।
৪ দিনব্যাপী আলোচনা শেষে ১৪ জুন যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সম্মেলনটি শেষ হয়।
ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৩তম সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক ড. সুজয় লাল থাওসেনের নেতৃত্বে ভারতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
বা বু ম / অ জি