নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হয়েছে। মূল আলোচনায় সীমান্ত হত্যা, চোরাচালান ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর মতো বিষয় রয়েছে।
রোববার সকালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিএসএফ চাওলা ক্যাম্পে ৫৩তম এ সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। চার দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে বুধবার। বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমান্ত হত্যা; ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র, গোলাবারুদসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান; আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে অনুপ্রবেশ, বিশেষ করে ভারত সীমান্ত দিয়ে বলপূর্বক মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ; সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অনুমোদনহীন উন্নয়নমূলক অবকাঠামো নির্মাণ ও বন্ধ থাকা অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ নিষ্পত্তি নিয়ে এ সম্মেলনে আলোচনা হবে।
আলোচনার অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন; জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় উন্মুক্তকরণ; আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ক্যাম্পের সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ড–সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়; বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে ভারতীয় টেলিকম নেটওয়ার্কের বিস্তার রোধ; সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত–সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ।
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। প্রতিনিধিদলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।
অপর দিকে সম্মেলনে বিএসএফের মহাপরিচালক সুজয় লাল থাওসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে। এতে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফ্রন্টিয়ার আইজি এবং স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন।
বা বু ম / এস আর