ডেস্ক নিউজ:
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাইগাররা। শুক্রবার (৬ আগস্ট) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বৃষ্টির হানায় দেরিতে টস হয়।
সন্ধ্যা ৬টায় টস হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে ৭টায় টস অনুষ্ঠিত হয়। তবে দেরিতে টস হলেও কোনো ওভার কাটা হয়নি।
এদিকে তৃতীয় ম্যাচেও অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে অজিদের একাদশে এসেছে তিন পরিবর্তন।
বাংলাদেশ একাদশ:
মোহাম্মদ নাইম, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, শামীম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ:
বেন ম্যাকডারমট, অ্যালেক্স কেরি, মিসেল মার্শ, ময়েস হেনরিক্স, অ্যাস্টন অ্যাগার, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন টার্নার, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, নাথান এলিস , অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড।
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে হারায় টাইগারদের বিপক্ষে অনেকটাই ব্যাকফুটে অজি শিবির। পিছিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুক্রবার জয় দিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী।এক্ষেত্রে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লার পাশাপাশি বাংলাদেশের বড় শক্তি হতে পারেন দলের তরুণ ক্রিকেটাররা। কেউ কেউ তো বলছেনই- সিরিজ জয় কেন, বাংলাদেশের পক্ষে অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশও করা সম্ভব এই সিরিজে। আসলেই কি অজিদের হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিতে পারবে লাল-সবুজের প্রতিনিধি দল?দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের পর আফিফ বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রতি ম্যাচ নিয়ে চিন্তা থাকে। এখন তৃতীয় ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করছি। ওই ম্যাচ জিতলে সিরিজটাও আমাদের পক্ষে আসবে। ইনশাআল্লাহ ওই ম্যাচও জেতার চেষ্টা থাকবে। আর এখানে যেহেতু আমাদের হোম কন্ডিশন, অবশ্যই বোলিংয়ের একটা সুবিধা থাকে। আমাদের বোলাররা সেই হোম কন্ডিশনের সুবিধাটা ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছে। মুস্তাফিজ ভাই ও শরিফুল, উইকেটের যে কন্ডিশন তার সঙ্গে খুব ভালো অ্যাসেস করতে পেরেছে। উইকেটের কন্ডিশন অনুযায়ী বোলিং করায় তারা খুব ভালো করেছে। এছাড়া আমাদের ফিল্ডিং, ব্যাটিংও খুব ভাল হচ্ছে বলে পুরো টিম এফোর্ট হচ্ছে।’বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্য প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ এটি। এর আগে দু’দল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের চারটি ম্যাচ খেললেও সেগুলো ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। যার প্রত্যেকটিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার দুই দেশের মধ্যকার সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পেল টাইগাররা। এটি আবার অজিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের টানা দুটি জয়ের রেকর্ডও। সব মিলিয়ে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই অস্ট্রেলিয়াকে হারের স্বাদ দিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে টেস্ট ও ওয়ানডেতে জয় একটি করে।এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৩ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরতে ব্যাট করে সফরকারী দলকে ১৩২ রানের টার্গেট দিয়ে নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে পার পায় টাইগাররা। ১৯ রান দিয়ে একাই ৪ উইকেট তুলে নেন সিলেট থেকে বেড়ে ওঠা নাসুম। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ম্যাচসেরা হন নাসুম।দ্বিতীয় ম্যাচে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা জয় পায় ৫ উইকেটে। এবার অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১২২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। আফিফ করেন ৩৭ রান। সাকিব ও নুরুল হাসান করেন যথাক্রমে ২৬ ও ২২ রান।