ডেস্ক নিউজ:
চীন থেকে সিনোফার্মের আরও ৩০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। হযরত শাহজালাল (রাহও) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তিনটি বিশেষ ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে এ টিকা আসে। এ নিয়ে চীন থেকে মোট ৮১ লাখ ডোজ টিকা এল বাংলাদেশে। পর্যায়ক্রমে এগুলোকে তৃণমূলে দেওয়া হবে বলে জানান ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য ডা. শামসুল হক।
বৃহস্পতিবার রাত দশটায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে চীন থেকে ঢাকা পৌঁছায় ১০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা। এরপর রাত ১টা ও রাত ৩টায় আসে আরও ২০ লাখ ডোজ। ৩০ লাখ ডোজ টিকা ফ্রিজআপ কার্গোতে করে নিয়ে যাওয়া হয় টঙ্গীর চেরাগ আলীতে বেক্সিমকো ফার্মার স্টোরেজে। ১১ লাখ ডোজ উপহারসহ এ নিয়ে ৮১ লাখ চীনা টিকা এখন বাংলাদেশের হাতে। চীনের সঙ্গে চুক্তির ৩ কোটি ডোজের বাকি চালানও পর্যায়ক্রমে চলে আসবে বলে জানান ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য।
ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক জানান, আমরা এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার থেকে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছি। ফাইজার থেকে ১ লাখ ৬ হাজার। মর্ডানার থেকে প্রায় ৪৫ লাখ। চীন থেকে আগে পেয়েছি ৫১ লাখ এবং আজ (বৃহস্পতিবার) এলো ৩০ লাখ।
কোভিড টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ পেতে আর সমস্যা হবে না জানিয়ে ইপিআইয়ের ম্যানেজার ডা. মাওলা বক্স জানান, বয়স্কদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে টিকা সংরক্ষণের জন্য সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে ৬৯৮টি স্টোরেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।এর আগে গত ৮ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর তা ব্যবহারে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশও।চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল।
এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। দেশে টিকাগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন প্রায় এক কোটি ৩৬ লাখ মানুষ। বুধবার পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন ৮২ লাখ ৭০ হাজার ৪২২ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৪৩ লাখ ২২ হাজার ৩২৭ জন। দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না ও সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হচ্ছে।