দেশে এ বছর অতিবৃষ্টি ও কয়েক দফার বন্যায় ৩৫টি জেলার আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশে খাদ্য ঘাটতির কোন আশঙ্কা নেই। বরং জুন পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।
একমাসে দেশের ১৪টি কৃষি অঞ্চলে জরিপের ভিত্তিতে সংস্থাটি এই তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবির জানান, সারাদেশে চালের উৎপাদন কম এবং খাদ্য ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কার কথা যেভাবে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে তা আদৌ ঠিক নয়। আমাদের গবেষণায় ১৪টি কৃষি অঞ্চলের ১৮০০ জন কৃষকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি ৫৬ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও ১১২ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিকট থেকে ধানের আবাদ ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া এই প্রথম উৎপাদন নির্ণয়ের জন্য স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে আমন ধানের আবাদকৃত এলাকার তথ্য বের করা হয়েছে।’
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ব্রি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ব্রি’র গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় ১৪টি কৃষি অঞ্চলের মধ্যে এ বছর আমনের ফলন দিনাজপুরে ১১.১ শতাংশ, খুলনায় ৭.১ শতাংশ, চট্রগ্রামে ১.৩ শতাংশ, এবং যশোরে ৩.৫ শতাংশ ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে বাকি ১০টি কৃষি অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বিভিন্ন হারে কমেছে।
চালের হিসাবে এ বছর আউশ, আমন ও বোরো মিলিয়ে মোট চাল উৎপাদন হবে ৩৭.৪২ মিলিয়ন টন। চাহিদা ও যোগানের অবস্থা বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, ডিসেম্বর ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ চালের চাহিদা মিটিয়ে কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্ধৃত্ত থাকবে। এক্ষেত্রে মাথাপিছু দৈনিক ৪০৫ গ্রাম চাল ধরে সর্বমোট ১৬ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার জন্য এই হিসাব করা হয়েছে।