অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করছে।এর তাণ্ডবের শিকার হচ্ছে উপকূলীয় জেলাগুলোর অধিবাসীরা। খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, ভোলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলায় আম্পানের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোলা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রামে আম্পানের তাণ্ডবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি সুন্দরবন দিয়ে বাংলাদেশের স্থলভাগে প্রবেশ করে। অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান বিকাল ৫টার দিকে উপকূলের বাংলাদেশ অংশে পৌঁছেছে। ভারতের সাগারদ্বীপের পাশ দিয়ে সুন্দরবন ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ভূভাগে উঠে আসছে।আবহাওয়াবিদ জানান, পুরোপুরি স্থলভাবে উঠে আসতে ছয় থেকে আট ঘণ্টা লাগতে পারে। এর প্রভাবে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হতে পারে।সন্ধ্যায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন সাগর এলাকা উত্তাল রয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর,বরগুনা,পটুয়াখালী,ভোলা,বরিশাল,লক্ষীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তি দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা বয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী,ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তি দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এর আগে বিকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানে আম্পান।এতে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়, গাছাপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে তিনজন এবং উডিশায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।