তথ্য-প্রযুক্তি, জ্বালানি খাত ও ওষুধ শিল্পে মোটা অঙ্কের মার্কিন বিনিয়োগের আভাস দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বমূলক পরামর্শ বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়।
ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কেইথ ক্র্যাচ।
দুই দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো বেগবান হবে বলে আশা প্রকাশ করে উভয় পক্ষ। বিশেষ করে বিনিয়োগ, জনস্বাস্থ্য সহযোগিতা, সমুদ্র অর্থনীতি, কৃষি ও জ্বালানি খাতে সক্ষমতা, পরিবহন ও অবকাঠামো উন্নয়নে উভয় দেশের পারস্পারিক সহযোগিতার কথা বলেন তারা।
বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি।
এসব খাতে মার্কিন কোম্পানিগুলো আরো বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি। কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় উভয় দেশের সরকার ও বেসরকারিখাতের নিবিড় সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন তারা।
এসময় সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কূটনীতি প্রতিবেশী এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর সাথে আরো দৃঢ় করার চেষ্টা চলছে। তিনি গর্বের সাথে বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ। এসময় বাংলাদেশের বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন কেইথ ক্র্যাচ।
তিনি বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলোর এ সুযোগ নেয়া উচিত এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তি, জ্বালানি ও ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে বিনিয়োগ করা উচিত। তিনি সন্তোষজনক মন্তব্য করে বলেন, করোনা মহামারীর সময় যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে কম সময়ে সবচেয়ে ভালো মানের পিপিই সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশন আর বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন অথোরিটির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।