1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন

শীতের তীব্রতায় বেড়েছে গরম কাপড়ের ক্রয় বিক্রয়

  • সময় : শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৫

শামসুর রহমান তালুকদার-

টাঙ্গাইলে শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় জমে উঠেছে গড়ম কাপড়ের ক্রয়-বিক্রি। সামর্থ্যবানরা শহরের অভিজাত বিপণিবিতান থেকে কেনা কাটা করলেও সামর্থ না থাকায় কিনতে পারছে না নিম্নমধ্যবিত্ত ও গরীব আয়ের মানুষেরা।

নিম্নমধ্যবিত্ত ও গরীব মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল জেলা শহরের কোর্ট চত্ত্বর এলাকায় গড়ে ওঠা গরম কাপড়ের দোকান। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এখান থেকে কম দামে শীতের পোষাক কিনে থাকে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের নতুন ও পুরাতন পোষাক বিক্রি হচ্ছে এখানে। তবে এটি ‘গরিবের শীতের মাকেট’ হিসেবে পরিচিত থাকলেও অনেক মধ্যবিত্তরাও এখান থেকে শীতের গরম কাপড় কেনেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সরকারি পরিত্যক্ত জায়গা ও কোর্ট চত্ত্বর এলাকায় প্রায় কয়েশত’ দোকান বসেছে। ক্রেতাদেরও বেশ ভিড়। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদেরও এখান থেকে কাপড় কিনতে দেখা যায়। এখানে ১০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত দামের শীতের কাপড় পাওয়া যায়।

কয়েকজন বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কাপড়ের দাম বেল্ট প্রতি বেড়েছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। যা বিক্রি করে খরচই উঠানো কষ্টসাধ্য। তারপরও নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন যাতে অল্প টাকায় শীতের কাপড় কিনতে পারেন সে অনুপাতে তারা বিক্রি করছেন।

পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী পৌরসভার কাগমারা এলাকার আমিনুল ইসলাম বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারের আর্থিক অনটন দূর করতে কোট চত্ত্বর এলাকায় পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করছি। এমনিতেই এ ব্যবসা বছরের ৩ থেকে ৪ মাস করতে পারি। গত কয়েক দিন ধরে শীত বাড়তে থাকায় বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। যার ফলে বর্তমানে বিক্রি বেড়েছে। এ ব্যবসা বছরের ৩ থেকে ৪ মাস করতে পারি। তিনি আরো বলেন, এ বছর কাপড়ের দাম বেশ বেড়েছে। চট্টগ্রামে পোশাক আনতে গেলে সেখানে বেল প্রতি ৫ হাজার টাকা বেশি দাম রাখে। চাহিদা বেশি থাকায় বাড়তি দাম নিচ্ছেন তারা। আগে শীতের কাপড়ের যে বেল্ট সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকায় আনা যেত, এ বছর সেই বেল্ট আনতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকায়। তাই লাভ কিছুটা কম হচ্ছে।

পৌরসভার বাসিন্দা ক্রেতা রানা মিয়া বলেন, শহরের মার্কেটগুলোতে দাম বেশি থাকায় কোর্ট চত্ত্বর এলাকায় গড়ে ওঠা গরম কাপড়ের দোকান কাপড় কিনতে এসছি। এখানে কম দামে বেশ ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। শুধু আমি নই, আমাদের এলাকার অনেকেই এখানে কাপড় কিনতে আসেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪