1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন

রাস্তার উপর আর্বজনার স্তুপ

  • সময় : মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০
  • ৩০৫

শহরের কয়েকটি জায়গাতে রাস্তার উপর আর্বজনার স্তুপ পড়ে থাকতে দেখায় যায়।এতে ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা।গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এর আশেপাশে আবর্জনার স্তুপ পরে থাকতে দেখা যায় অনেক সময় ধরেই ।

পৌরসভার অভ্যন্তরীন বসবাস করা প্রায় ২ লক্ষ মানুষের নিত্য দিনের বজ্য ঠিকমত অপসারণ না করায় আবর্জনা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ছে শহরবাসী। কোথাও কোথাও আবজনা ডাস্টবিন ভরে পড়ে থাকে দিনের পর দিন। কোথায়ও রাস্তার উপর একবারে আবর্জনা পড়ে থাকে ।এতে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তেমন ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে।

বিভিন্ন স্থাপনার সামনেও আবর্জনার স্তুপের ছোট খাটো টিলার মত হয়ে আছে। এ থেকে প্রচন্ড দূগন্ধ মানুষ অতিষ্ট করে তুলেছে সেখানে পথচারীদের নাকে হাত দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

পাবনা শহরের মনোরম পরিবেশ সৌন্দর্য্য পূণ মেডিকেল কলেজ রোড এর কৃষি খামার বাড়ির সামনে বিশাল জায়গা জুড়ে আর্বজনার স্তুপ নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না কখনো কখনো আর্বজনা রাস্তার অধেক অংশজুড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।স্হানীয় বাসিন্দারা কয়েকবার স্তুপে দাড়িয়ে প্রতিবাদ করেছে আর্বজনা অপসারণের জন্য দাবী জানিয়েছেন পৌর কতৃপক্ষের।

সেখানে পাথচারীরা নাক ধরে তড়িঘড়ি করে পার হয়। রাস্তার উপরি থেকে যাচ্ছে আর্বজনা সেখানে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার উপর আর্বজনা ফেলায় যে কোন সময় মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সরেজমিনে দেখা যায়, খোলা আবর্জনায় পুশ পাখি এ থেকে বিষাক্ত খাবার গ্রহণ করেছে। পরিবেশের জন্যও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আবর্জনার সমস্যা শহরের প্রায় সবখানে কম বেশী দেখা যাচ্ছে। পাবনা শহরের ১৫টি ওয়ার্ডে প্রায় ২ লক্ষের বেশী মানুষ বসবাস করে। ২ লক্ষ মানুষের বর্জ অপ্রসারণের প্রতিনিয়ত হিমশিম ক্ষেত্রে হচ্ছে বলে জানান পৌর কর্তৃপক্ষ। শহরের ১ নং ওয়ার্ড কমিশনার জানান প্রতিদিন আবর্জনা নিজে উপস্থিত থেকে কখনও নিজেই পরিস্কার করি।

কিন্তু কষ্টের কথা হলো জন্যসাধরণ নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা না ফেলে ড্রেনে ফেলে এতে পানি নিঃস্কাষণ ব্যবস্থার ত্রুটি হয় এবং আবর্জনা অপাসারণ করতে ডাবল কষ্ট হয়। আবর্জনার সমস্যার আর একটি অন্যতম কারণ হলো পর্যাপ্ত জনবল না থাকা বলে স্কীকার করেন তিনি।

পাবনা পৌরসভা সূত্র জানা যায়, আবজনা অপসারণের জন্য ৯টি গাড়ীর ভেতর তিনটি নষ্ট। ৬টি দিয়ে চলছে আবজনা অপসারণে কাজ।২১৬ জন পরি ছন্ন কমী তা চাহিদা তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। সূত্র আরো জানায় , আবজনা কেউ ফেলতে দেয়না । রিসাইকেলিং পদ্ধতি দরকার হয়ে পড়েছে যা সিটি শহর গুলাতে থাকে। সেটা আমাদের আনতে হবে।

দুই ধরনের আবর্জনার মধ্যে ক্ষতিকার বিপদজনক হলো হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের সংক্রামক বর্জ্য যেটা মানুষ, পশু-পাখির জন্য চরম হুমকির এ বিষয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ আবুল বাশার জানান এ আবর্জনাগুলো সংক্রামক ও বিপদজনক।

আবর্জনা যেখানে সেখানে পড়ে থাকলে বৃষ্টি পানির সঙ্গে তা সর্বত্র ছড়িয়ে যায়। এতে করে শিশুদের পানি বাহিত রোগ ডাইরিয়া, আময়াশা, পেটে পীড়াদায়ক অসুখ সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া এ বিষাক্ত আবর্জনার মধ্যে থাকা ব্যাবহৃত হওয়া সিরিঞ্জ এর সুচ যদি মানব দেহে ঢোকে তাহলে সেখানে মাংস পচন, হিপাটাটিস বি ভাইরাস, এইচআইভির মত মারাত্মক অসুখে সংক্রামিত হতে পারে। এগুলো মাঝে মধ্যে সাধারণ আবর্জনার সাথে মিশে থাকতে দেখা যায়।

অজানৃতেই মানুষ হঠাৎ করেই আক্রান হয় ভংয়কার সব অসুকে। পাবনার একটি জেনারেল হাসপাতাল, একটি বক্ষব্যাধি, একটি মা ও শিশু প্রসুতি হাসপাতালসহ প্রায় ৫০টি ক্লিনিক আছে।

এছাড়া ১১টি কাঁচা বাজার ও শিল্প প্রতিষ্ঠান হোটেল, বাসা বাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানের এই বৃহৎ পরিমান বর্জ অপসারনের হিমসিম খাচ্ছে পৌর কতৃপক্ষ। এতো লোকবল ও আধুনিক বজ্য অপসারণ ও আবজনা ধ্বংসের পদ্ধতির জন্য করণীয় সকল পন্থা অবলম্বন করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পৌরকতৃ পক্ষের প্রতি আহবান জানান শহরবাসী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪