ঢাকা-৫ আসনের প্রবীণ সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। করোনার কারণে উপনির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও থেমে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা।
স্থানীয় নেতাকর্মীরাও মনে করছেন হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে হলে তার বিকল্প নেই। কারণ গত নির্বাচনে বিএনপির অনেক প্রার্থী রাজপথেই নামেননি। ফলাফলে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়। অথচ তিনি প্রায় ৭০ হাজার ভোট পান। এই আসনে বিএনপি প্রার্থী নবীউল্লাহ নবী ছিলেন পুরোপুরি ব্যতিক্রম। তফসিল ঘোষণার পরপরই চষে বেড়িয়েছেন গোটা নির্বাচনী এলাকা। প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগও তার নির্বাচনী প্রচারণা দেখে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন। সব মিলিয়ে এবারের উপনির্বাচনে নবীউল্লাহ নবীই যে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।
এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সজল, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও শহীদ শেখ কামালের স্ত্রী শহীদ সুলতানা কামালের ভাতিজি মেহরীন মোস্তফা দিশিসহ এক ডজন প্রার্থী। এছাড়াও জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ১৪ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এখানে দলীয় ব্যাপক গ্রুপিং আছে। এই গ্রুপিং এর কারণে মোল্লা পরিবার থেকে কাউকে মনোনয়ন না দিলে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন প্রার্থী করা হতে পারে।সবকিছু নির্ভর করছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর।ঢাকার প্রবেশদ্বার খ্যাত আসনে আগামী দিনের সরকার বিরোধীদের আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ন্ত্রণ করা এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই প্রার্থী করা হবে।
প্রয়াত জনপ্রিয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল নির্বাচনে প্রার্থী হবেন।
ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন বলেন, দলের দুঃসময়ে বিভিন্ন সময়ে নেত্রীর নির্দেশে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামি হয়ে জেলে যেতে হয়েছে। নেত্রীর তরুণ নেতৃত্বের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের বিষয়ে আমি আশাবাদী।