বুলেটিন ডেস্ক
গৃহশ্রমিকদের অধিকার, সুযোগ–সুবিধা সৃষ্টির পাশাপাশি তাঁদের পেশাকে কাজের স্বীকৃতি প্রদানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাঁদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত, গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন প্রয়োজন। গৃহশ্রমিক হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন, নীতিমালা অনুযায়ী সপ্তাহে এক দিন ছুটি এবং প্রবাসী গৃহশ্রমিকের অধিকার, মর্যাদা ও সুরক্ষায় সরকারের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। বেসরকারি সংস্থা কর্মজীবী নারী ও ডেমক্রেসিওয়াচ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, ‘গৃহশ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে অনেক দিন ধরেই, কিন্তু সঠিকভাবে এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তাঁদের পেশাকে কাজের স্বীকৃতি প্রদানে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
ডেমক্রেসিওয়াচের নির্বাহী পরিচালক ওয়াজেদ ফিরোজ বলেন, গৃহশ্রমিকের অধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে। তিনি দিবসটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করেন।
অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কর্মসূচি পরিচালক মাহমুদা সুলতানা বলেন, ৪২ শতাংশ নারী বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা দেশ ও জাতির জন্য কাজ করছেন কিন্তু মর্যাদা পাচ্ছেন না।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কর্মজীবী নারীর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ফারহানা আফরিন তিথি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন ও সংস্থার কর্মকর্তা, গৃহশ্রমিকসহ ৭০০ জন উপস্থিত ছিলেন।
বা বু ম / অ জি