পটুয়াখালীতে ধলু সরদার (৫২) নামক ধর্ষক কর্তৃক ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।কমলাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন ধারান্দি এলাকার বাসিন্দা মৃত্যু হাকিম আলী সরদারের ছেলে ধর্ষক ধলু সরদার।বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বেলা ১১ টায় সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন ধারান্দি এলকায় এ ঘটনা ঘটে।শিশুটি বর্তমানে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসারত আছে।এবিষয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু ধর্ষণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। যার মামলা নং- ১৫.সরেজমিনে জানাগেছে, ভিকটিম ধরান্দি নূরানী ক্যাডেট মাদ্রাসার ২য় শ্রেণীর ছাত্রী। শিশুটির মা কান্না জড়িত কন্ঠে প্রতিবেদকে জানান,তার স্বামী ব্রুনাই প্রবাসী।
প্রতিমাসের ন্যায় এ মাসেও স্বামী সংসার খরচের টাকা ব্যাংকে পাঠায়। বাসায় ছেলে ও ৬ বছরের মেয়েকে রেখে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের খারিজ্জমা সোনালী ব্যাংক শাখায় টাকা উত্তলন করতে যায় সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফিরে আসেন।তিনি এসে ঘরের মধ্যে ছেলেকে মোবাইল চালানোয় ব্যস্ত দেখতে পেলেও মেয়েকে না দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি ও খোঁজা খুজি করতে গিয়ে বাড়ির পাশে ঝুপরি বেড়ার মধ্যে শব্দ শুনে সামনে এগিয়ে দেখতে পান প্রতিবেশী ধলু তার ৬ বছরের শিশু কণ্যাকে ধর্ষণ করছে।
তাকে দেখে ধলু লুঙ্গি নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।তিনি আরও বলেন, আমি যদি একটা বার জানতাম আমার শিশু মেয়ে ধর্ষণ হবে আমি জীবনেও টাকা তুলতে ব্যাংকে যেতাম না। ধলু প্রভাবশালী। আমরা মামলা করবো। আমি ধলুর বিচার চাই।অনুসন্ধানে গেলে, প্রতিবেশী আবদুল জব্বার জানান, আমরা দেখেছি শিশুটি বাড়ির বাহিরে বসে খেলতে ছিলো।তার ভাই ঘরের মধ্যে মোবাইল চালানোয় ব্যস্ত ছিলো। পরে আমি আমার কাজে চলে যাই।
পরবর্তীতে শুনতে পাই ধর্ষক ধলু শিশুটিকে বাড়ির পাশের ঝুপড়ির মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে।আমরা স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।বিষয়টি খুবই ন্যাক্কারজনক এসমস্ত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।এব্যপারে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান, একটি শিশু এসেছে, তাকে ভর্তি করা হয়েছে। পরীক্ষা না করে সঠিক কিছু বলা যাবে না।আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছি।এবং পরীক্ষার নীরিক্ষার পড়ে রিপোর্ট দেখে সঠিক তথ্য বলা যাবে।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতার মোরশেদ জানান, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।এবিষয়ে থানায় নারী ও শিশু ধর্ষণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।আসামিকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।