ডেস্ক রিপোর্ট –
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)।
অর্থাৎ, আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদানের মাধ্যমে নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বেতারে তফসিল ঘোষণার ভাষণ রেকর্ড করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। পরে সিইসির কক্ষে সব কমিশনাররা বৈঠক করেন।
তারও আগে আসন্ন নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণাকে ঘিরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতিনিধিদল। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে সাক্ষাৎ শেষে দুপুর ২টায় বেরিয়ে যান তারা।
রেওয়াজ অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার আগে সব ধরনের প্রস্তুতি অবহিত করা হয় রাষ্ট্রপতিকে। এরপর সিইসি বিটিভি ও বেতারে ভাষণের মাধ্যম নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
এবার প্রথমবারের মতো প্রবাসী ভোটার ছাড়াও দেশের ভেতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং কয়েদিরা আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। অন্যদিকে কোনো দল জোট গঠন করলেও এবার নিজেদের প্রতীকের বাইরে অন্য দলের প্রতীকে ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ রাখেনি নির্বাচন কমিশন।
সবমিলিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন প্রায় ১৩ কোটি নাগরিক। সবশেষ হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, মহিলা ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ হাজার ২৩৪ জন।
ইতোমধ্যে ভোটারদের জন্য ৪২ হাজার ৭৬১টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে, যেখানে মোট ভোটকক্ষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটকক্ষ ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি এবং মহিলা ভোটকক্ষ ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি। তবে দুই নির্বাচনের ভোট একসঙ্গে হওয়ায় গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়তে পারে। এছাড়া এবার ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। ফলে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।